🎧 New: AI-Generated Podcasts Turn your study notes into engaging audio conversations. Learn more

ডিজিটাল টেকনোলজি_compressed.pdf

Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...

Full Transcript

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড কর্ক তৃ জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী প্রণীত এবং ২০২৩ শিক্ষাবর্ ্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য নির্ ্ধধারিত পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাল প্রযুক্তি সপ্তম শ্রেণি...

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড কর্ক তৃ জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী প্রণীত এবং ২০২৩ শিক্ষাবর্ ্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য নির্ ্ধধারিত পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাল প্রযুক্তি সপ্তম শ্রেণি (পরীক্ষামূলক সংস্করণ) রচনা অধ্যাপক ড. এম. তারিক আহসান অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ড. ওমর শেহাব মির্্জজা মো োহাম্মদ দিদারুল আনাম আফিয়া সুলতানা মিশাল ইসলাম হাসান আল জুবায়ের রনি ড. মো োহাম্মদ কামরুল হক ভূঞা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড ৬৯-৭০ মতিঝিল বাণিজ্্যযিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ কর্কতৃ প্রকাশিত [জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড, বাংলাদেশ কর্ক তৃ সর্্বস্বত্ব সংরক্ষিত] প্রথম প্রকাশ: ডিসেম্বর, 2022 পুনর্মুদ্রণ: , 2023 শিল্প নির্্দদেশনা মঞ্জুর আহমদ নাসরীন সুলতানা মিতু চিত্রণ অধরা পতত্রী প্রচ্ছদ অধরা পতত্রী গ্রাফিক্স ডিজাইন নাসরীন সুলতানা মিতু অধরা পতত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্ক তৃ বিনামূল্যে বিতরণের জন্য মুদ্রণে: প্রসঙ্গ কথা পরিবর্্তনশীল এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা। প্রযুক্তির উৎকর্্ষষের কারণে পরিবর্্তনের গতিও হয়েছে অনেক দ্রুত। দ্রুত পরিবর্্তনশীল এই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার কো োনো ো বিকল্প নেই। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ইতিহাসের যেকো োনো ো সময়ের চেয়ে এগিয়ে চলেছে অভাবনীয় গতিতে। চতুর্্থ শিল্পবিপ্লব পর্্যযায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ আমাদের কর্্মসংস্থান এবং জীবনযাপন প্রণালিতে যে পরিবর্্তন নিয়ে আসছে, তার মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্পর্্ক আরও নিবিড় হবে। অদূর ভবিষ্যতে অনেক নতুন কাজের সুযো োগ তৈরি হবে যা এখনও আমরা জানি না। অনাগত সেই ভবিষ্যতের সাথে আমরা যেন নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারি তার জন্য এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়ো োজন। পৃথিবীজুড়ে অর্্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও জলবায়ু পরিবর্্তন, বায়ুদূষণ, অভিবাসন এবং জাতিগত সহিংসতার মতো ো সমস্যা আজ অনেক বেশি প্রকট। দেখা দিচ্ছে কো োভিড ১৯ এর মতো ো মহামারি যা সারা বিশ্বের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং অর্্থনীতিকে থমকে দিয়েছে। আমাদের প্রাত্্যহিক জীবনযাত্রায় সংযো োজিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চ্্যযালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা। এসব চ্্যযালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাাঁড়িয়ে তার টেকসই ও কার্্যকর সমাধান এবং আমাদের জনমিতিক সুফলকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। আর এজন্য প্রয়ো োজন জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবো োধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন দূরদর্শী, সংবেদনশীল, অভিযো োজন-সক্ষম, মানবিক, বৈশ্বিক এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বল্্পপোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্্পণের লক্ষষ্যমাত্রা অর্্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষা হচ্ছে এই লক্ষষ্য অর্্জনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এজন্য শিক্ষার আধুনিকায়ন ছাড়া উপায় নেই। আর এই আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে একটি কার্্যকর যুগো োপযো োগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নের প্রয়ো োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্্ডডের একটি নিয়মিত, কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্্ণ কার্্যক্রম হলো ো শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্্জন। সর্্বশেষ শিক্ষাক্রম পরিমার্্জন করা হয় ২০১২ সালে। ইতো োমধ্যে অনেক সময় পার হয়ে গিয়েছে। প্রয়ো োজনীয়তা দেখা দিয়েছে শিক্ষাক্রম পরিমার্্জন ও উন্নয়নের। এই উদ্দেশ্যে শিক্ষার বর্্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং শিখন চাহিদা নিরূপণের জন্য ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালব্যাপী এনসিটিবির আওতায় বিভিন্ন গবেষণা ও কারিগরি অনুশীলন পরিচালিত হয়। এসব গবেষণা ও কারিগরি অনুশীলনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে টিকে থাকার মতো ো যো োগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অবিচ্ছিন্ন যো োগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা হয়েছে। যো োগ্যতাভিত্তিক এ শিক্ষাক্রমের আলো োকে সকল ধারার (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হলো ো। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলো োকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এমনভাবে রচনা করা হয়েছে যেন তা অনেক বেশি সহজবো োধ্য এবং আনন্দময় হয়। এর মাধ্যমে চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন প্রপঞ্চ ও ঘটনার সাথে পাঠ্যপুস্তকের একটি মেলবন্ধন তৈরি হবে। উল্লেখ্য যে ইতো োমধ্যে অন্তর্্বর্তীকালীন ট্রাই-আউটের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করে লেখক এবং বিষয় বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে যৌ ৌক্তিক মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকটি পরিমার্্জন করা হয়েছে। আশা করা যায় পরিমার্্জজিত পাঠ্যপুস্তকটির মাধ্যমে শিখন হবে অনেক গভীর এবং জীবনব্যাপী। পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়নে ধর্্ম, বর্্ণ, সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির বানানরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকটি রচনা, সম্পাদনা, চিত্রাঙ্কন ও প্রকাশনার কাজে যাাঁরা মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরীক্ষামূলক এই সংস্করণের কো োনো ো ভুল বা অসংগতি কারো ো চো োখে পড়লে এবং এর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কো োনো ো পরামর্্শ থাকলে তা জানানো োর জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরো োধ রইল। প্রফেসর মো োঃঃ ফরহাদুল ইসলাম চেয়ারম্যান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড, বাংলাদেশ সূচিপত্র শিখন অভিজ্ঞতা ১ ডিজিটাল সময়ের তথ্য............................১ শিখন অভিজ্ঞতা ২ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার....................20 শিখন অভিজ্ঞতা ৩ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্য়চু াল পরিচিতি তৈরি.........................38 শিখন অভিজ্ঞতা ৪ সাইবার গো োয়েন্দাগিরি............................51 শিখন অভিজ্ঞতা ৫ আমি যদি হই রো োবট..............................61 শিখন অভিজ্ঞতা ৬ বন্ধু নেটওয়ার্্ককে ভাব বিনিময়.....................85 শিখন অভিজ্ঞতা ৭ গ্রাহক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার....................................97 শিখন অভিজ্ঞতা ৮ যো োগাযো োগে নিয়ম মানি.........................113 শিখন অভিজ্ঞতা ৯ আঞ্চলিক বৈচিত্রর্যপত্র..............................129 শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা প্রিয় শিক্ষার্থী, তো োমাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তো োমাদের শিক্ষাজীবন শুরু হতে যাচ্ছে। এই শিক্ষাক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে কাজ করা ও অভিজ্ঞতা অর্্জনের মাধ্যমে শিক্ষাকে আরো ো বেশি আনন্দঘন ও ফলপ্রসু করা। এখন তো োমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে তো োমার বেড়ে উঠার এবং নিজেকে আরো ো বিকশিত করার সামাজিক কেন্দ্র। তো োমরা এখন শুধু এই বই থেকে শিখবে না, বরং এই বই থেকে নির্্দদেশনা নিয়ে তো োমার আশেপাশের পরিবেশ, মানুষ এবং প্রযুক্তি থেকেও শিখবে। প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের এমন একটি জায়গায় এনে দাাঁড় করিয়েছে যে, প্রতিদিনই নতুন নতুন জ্ঞান যুক্ত হচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনও পরিবর্্তন হচ্ছে খুব দ্রুত। তাই আজ যেটি আমি মুখস্থ করলাম তা আর কয়েকবছর পর কাজে নাও লাগতে পারে। সুতরাং আমাদের শেখার প্রক্রিয়াও হতে হবে আধুনিক। কো োন কিছু দেখে মুখস্থ করে নয় বরং আশেপাশের পরিবেশকে আরও গভীরভাবে পর্্যবেক্ষণ করে হাতের কাছে যে সব উপকরণ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ হতে হবে। আর এই বই তারই সুযো োগ করে দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন আর কম্পিউটার চালানো োর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্্ককিত সকল ধরনের সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধান ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আমরা শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করা শিখব তা কিন্তু নয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সমস্যার সমাধান করব ও সাথে সাথে সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন প্রযুক্তিও আবিষ্কার করতে শিখব। এই বই আমাদের সে আবিষ্কারক হওয়ার পথে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বইয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এমনভাবে সাজানো ো হয়েছে যে, হাতের কাছে যদি কো োন প্রযুক্তি নাও থাকে তারপরও তো োমরা কীভাবে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগাতে পারো ো তা হাতে কলমে শিখতে পারবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্্ণ কথা হল, তো োমরা এখন নিজের বন্ধুদের সাথে বা পাশের বিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে প্রতিযো োগিতা করবে না। তো োমরা সহযো োগিতার মাধ্যমে সবাই একসাথে বিশ্বনাগরিক হয়ে বড় হবে। তো োমার জন্য শুভকামনা! শিখন অভিজ্ঞতা ডিজিটাল সময়ের তথ্য ১. সেশন-১: উপযুক্ত প্রশ্নে যথার্্থ সমাধান আচ্ছা, ছো োটদের জীবনে বেশি সমস্যা নাকি বড়দের? আসলে ছো োটবড় সবারই প্রতিদিন নানা রকম ঝামেলায় পড়তে হয়, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড়রাই বড় বড় সমস্যাগুলো ো আমাদের সমাধান করে দেন। কেমন হবে যদি আমরা ছো োটরাও বড়দের সমস্যাগুলো োর সমাধান করার চেষ্টা করি? বর্্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে আমরা কিন্তু শুধু তথ্যের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা তথ্য এবং এর উৎস সম্পর্্ককে জেনেছি। সপ্তম শ্রেণিতে আমরা তথ্য অনুসন্ধান এবং ব্যবহার করে বড়দের একটি সমস্যাকে সমাধান করার চেষ্টা করব। যে কো োন সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যার গভীরে গিয়ে বুঝে নিতে হয় সমস্যার পেছনের কারণ। বো োঝার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি এবং সহজ উপায় হচ্ছে প্রশ্ন করা। আজকে আমরা সঠিক প্রশ্ন করার উপায় খুজে ুঁ বের করব। তার আগে একটি ঘটনা পড়ে নিই। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 1 ডিজিটাল প্রযুক্তি শিশির তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ঈদের ছুটিতে মায়ের সঙ্গে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছে যেখানে সে আগে কখনো ো যায়নি। যে বাড়িতে সে বেড়াতে গিয়েছে সেখানে তার বয়সি এমন কেউ ছিল না যার সঙ্গে সে খেলতে পারবে, কিন্তু সেই বাড়ির খুব কাছেই আরেকজন আত্মীয়ের বাড়িতে তার বয়সী অনেকে আছে যাদের সঙ্গে খেলতে পারলে খুব মজা হবে। শিশির সেই বাড়িতে একদিন আগেই গিয়েছিল, সে ভাবল একাই মাকে বলে ওই বাড়িতে চলে যাবে। শিশির দুপুরের খাবার খেয়েই সেই বাড়ির উদ্দেশ্যে হেেঁটে রওনা দিলো ো । সেই বাড়িতে যেতে ১০ মিনিটের বেশি লাগার কথা না, কিন্তু শিশির প্রায় ৩০ মিনিট হেেঁটে ফেলল কিন্তু ওই বাড়িটা পেল না। শিশির বুঝতে পারল সে রাস্তা ভুল করে ফেলেছে। সে সেখানে দাাঁড়িয়েই কাাঁদতে লাগল। শিশিরের কাছে মায়ের ফো োন নম্বর, যে বাড়িতে বেড়াতে এসেছে সেই বাড়ির নাম কিছুই মনে ছিল না, তাই কারও সাহায্যও চাইতে পারছিল না। এমন সময় ইউনিভার্্সসিটিতে পড়ে এরকম বয়সি একজন ছেলে এসে তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে?’ শিশির প্রথমে উত্তর দিতে পারল না, পরে কাাঁদতে কাাঁদতে বলল, আমি রাস্তা ভুলে গেছি। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল ‘তুমি কো োথায় যাচ্ছিলে?’ ‘যে বাড়িতে যাচ্ছিলে সেটি দেখতে কেমন?’ ‘তুমি কখন রওনা দিয়েছ আর ওই বাড়িতে পৌ ৌঁঁছাতে তো োমার কতটুকু সময় লাগার কথা?’ ‘এখানে তো োমরা কেন বেড়াতে এসেছ?’ এরকম অনেকগুলো ো প্রশ্নের উত্তর যা দাাঁড়াল, তা হলো ো ‘শিশির তার মায়ের সাথে একটি বিয়েতে এসেছে, সে বিয়ে বাড়িটি রেললাইনের পাশে। রেললাইনের পাশে বিয়ের গেইট সাজানো ো আছে, আত্মীয়ের বিয়ে বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব ১০ মিনিট। শিশিরের সব উত্তর শুনে ছেলেটি বিয়ে বাড়িটি চিনে ফেলল আর শিশিরকে পৌ ৌঁঁছে দিলো ো। শিশিরের এই ঘটনায় আমরা বুঝতে পারলাম, সঠিক প্রশ্ন করতে পারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্্ণ। সঠিক প্রশ্ন করতে পারার সহজ উপায় হচ্ছে, ৬ক মেনে প্রশ্ন করা। ৬ক হলো ো– কে? কী? কো োথায়? কখন? কেন? কীভাবে? এই 6টি ‘ক’ মাথায় রেখে যদি আমরা তথ্য অনুসন্ধান করি কিংবা কো োনো ো তথ্য উপস্থাপন করার সময় ুঁ পাব বা পূর্্ণণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন যদি আমরা এই ৬টি ‘ক’ বিবেচনা করি তাহলে আমরা সম্পূর্্ণ তথ্য খুজে করতে পারব। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 2 ডিজিটাল সময়ের তথ্য এবার আমাদের কাজ শুরু করার পালা। আমরা শ্রেণিকক্ষের সব বন্ধু, শিক্ষকের সহায়তায় তিনটি দলে ভাগ হয়ে তিন রকমের লক্ষষ্যদল নিয়ে কাজ করব। লক্ষষ্যদল বা টার্্গগেট গ্রুপ কী তা ইতো োমধ্যে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে জানতে পেরেছি। আমাদের তিনটি লক্ষষ্যদল হতে পারে – ১। বাবা মা বা তাদের বয়সি অভিভাবক ২। দাদা-দাদি, নানা-নানি বা তাদের বয়সি কো োনো ো আত্মীয় বা প্রতিবেশী ৩। শিক্ষক আমাদের কাজ হবে আমাদের লক্ষষ্যদল গত একমাসে কী কী ধরনের সমস্যায় পড়েছেন তা খুজে ুঁ বের করা এবং তথ্য অনুসন্ধান করে সমস্যার সমাধান চিহ্নিত করা। সমাধান চিহ্নিত হয়ে গেলে সমাধানটি তাদের কাছে সুন্দর ও আকর্ ্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে তাদের সাহায্য করা। আমাদের লক্ষষ্যদলের সমস্যাগুলো ো হতে পারে খুব ছো োট ছো োট কিন্তু সমাধান করা গেলে তাদের অনেক বেশি উপকার হবে। যেমন সমস্যা হতে পারে- - দাদির ওষুধ খেতে মনে না থাকতে পারে। - কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গেলে বাবার প্রিয় গাছটি পানি না পেয়ে শুকিয়ে যেতে পারে। - দীর্্ঘ সময় ধরে দাাঁড়িয়ে থেকে ক্লাস নিতে হয় বলে শিক্ষকের পায়ে ব্যথা হতে পারে। উপরের উদাহরণগুলো ো তো োমাদের বো োঝার সুবিধার্্থথে দেওয়া হলো ো। এবার আমরা আমাদের জন্য শিক্ষক যে ুঁ লক্ষষ্যদল ঠিক করে দিয়েছেন সে লক্ষষ্যদলের কী কী দৈনন্দিন সমস্যা আছে তা তাদেরকে প্রশ্ন করে খুজে শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 বের করব। 3 ডিজিটাল প্রযুক্তি বাড়ির কাজ: 6টি ‘ক’ দিয়ে প্রশ্ন করার কৌ ৌশল কাজে লাগিয়ে সবাই বাড়িতে গিয়ে যার যার লক্ষষ্যদলকে প্রশ্ন করে ুঁ বের করার চেষ্টা করব। এখানে লক্ষষ্য রাখব, তারা প্রথমেই সমস্যার কথা হয়তো ো বলতে তাদের সমস্যা খুজে পারবেন না বা অনেক বড় সমস্যার কথা বলবেন। কিন্তু আমরা প্রশ্ন করে করে তাদের সমস্যার পেছনের খুজে ুঁ বের করব। আমাদের দলের লক্ষষ্যদল বা টার্্গগেট গ্রুপ প্রাপ্ত সমস্যা শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 4 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-২: সমস্যার শ্রেণিকরণ আমরা একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারব পৃথিবীর সব আবিষ্কারের শুরু কিন্তু সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে। মানুষ বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখো োমুখি হয়েছে আর সেটির সমাধান করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন কিছু। তাই নতুন কিছু তৈরি করার প্রথম ধাপই হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারা। আজকে আমরা বাড়ি থেকে করে আনা আমাদের সমস্যাগুলো ো একসঙ্গে করব, তারপর সিদ্ধান্ত নিব যে, কো োন সমস্যাটি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। সমস্যাগুলো ো একসঙ্গে করার জন্য আমরা আজকে কাজ করব ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং এর মাধ্যমে। বর্্ণমালা, শব্দ, চিহ্ন, ছবি ইত্্যযাদির সমন্বয়ে কম্পিউটার বা মো োবাইল ব্যবহার করে কো োনো ো ডকুমেন্ট (দলিল) তৈরি করার প্রক্রিয়া হচ্ছে ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং। মাইক্্ররোসফট ওয়ার্ ্ড, নো োটপ্যাড, ল্যাটেক্স ইত্্যযাদি বিভিন্ন সফটওয়্্যযারের মাধ্যমে ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং করা যায়। আজকে শিক্ষক আমাদের মাইক্্ররোসফট ওয়ার্্ডডের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো ো একসঙ্গে করে একটি তৈরি ডকুমেন্ট তৈরি করা শেখাবেন। শিক্ষক আমাদের সাহায্য করবেন, কিন্তু আমরা নিজেরা চেষ্টা করে দেখতে পারি-ধাপে ধাপে নির্্দদেশনা মেনে একটি ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারি কিনা- ১। কম্পিউটার চালু হওয়ার পর, মাউসটি নিয়ে মাউসের ডান পাশে ক্লিক করি। একটি বক্স আসবে সেখানে একটি লিখা আসবে ‘new’ ২। ‘New’তে কার্্সর নিয়ে আসলে নতুন আরেকটি বক্স আসবে। এখানে কম্পিউটারে যে যে প্্ররোগ্রাম সফটওয়্্যযার আছে সবগুলো োর নাম আসবে। এখান থেকে আমরা ‘Microsoft Word Document’-এ ক্লিক করব। ৩। কম্পিউটারে ‘Microsoft Word Document’ নামে একটি ফাইল তৈরি হয়ে যাবে। একই কাজ ‘Start’ মেন্যুবার শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 থেকেও করা যায়। 5 ডিজিটাল প্রযুক্তি ৪। সে ফাইলের উপর মাউস নিয়ে গিয়ে আবার মাউসের রাইট ক্লিক বা ডান পাশে ক্লিক করি, আবার নতুন একটি বক্স আসবে। সেখানে অনেকগুলো ো লিখার মধ্যে একটি লিখা থাকবে ‘Rename’. ‘Rename’ এর উপর ক্লিক করলে আমার তৈরি হওয়া ফাইলটির নামের উপর কার্্সর চলে যাবে। এখানে আমরা ইচ্ছামতো ো নিজেদের ডকুমেন্ট-এর নাম দিতে পারব। কী-বো োর্্ডডে যে অক্ষরগুলো ো আছে সেগুলো ো টাইপ করে করে আমরা নাম দিতে পারব। ৫। আমাদের একটি ডকুমেন্ট ফাইল তৈরি হলো ো। এবার আমরা আমাদের লক্ষষ্যদলকে প্রশ্ন করে নিয়ে আসা চিহ্নিত সমস্যাগুলো ো ফাইলে লিখব। একটি দল থেকে যতগুলো ো সমস্যা এসেছে, সবগুলো ো আমাদের ফাইলে লিখে রাখতে হবে। আমাদের কম্পিউটারে হয়তো ো ইংরেজি ‘কী-বো োর্ ্ড’ অ্্যযাকটিভ (চালু) আছে, আমরা যেহেতু বাংলায় লিখব তাই বাংলা কী-বো োর্ ্ড অ্্যযাকটিভ করতে হবে। বাংলা কী-বো োর্ ্ড অ্্যযাকটিভ করতে হলে একসঙ্গে তিনটি কী চাপতে হবে- Ctrl-Alt-B প্রথমে আমাদের লেখার একটি শিরো োনাম দেওয়ার প্রয়ো োজন, তাই না? শিরো োনামের লেখার আকার অন্য লেখা থেকে একটু বড় হওয়া চাই, তাহলে এই কাজটি করে নিই। শিরো োনামটি লিখে আমরা মাউসের বাম পাশ চেপে ধরে পুরো োটা অংশ সিলেক্ট করে নিব। তারপর মেনুবারে বামপাশে (নিচের ছবির মতো ো) ফন্টের আকার প্রয়ো োজনমতো ো বাড়িয়ে নিব। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 শিরো োনাম লেখা হয়ে গেলে নিচে ১, ২, ৩ নম্বর দিয়ে নিজেদের সমস্যাগুলো ো এক এক করে লিখে ফেলব। 6 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৩: ‘শর্্টকার্্ট-কী’ কম্পিউটার ব্যবহার করে কো োন একটি কাজ করতে পারা বেশ মজার, তাই না? আমাদের সমস্যাগুলো ো একসঙ্গে করার কাজটি আমরা খাতায় কিংবা বো োর্্ডডে লিখেও করতে পারতাম কিন্তু এই সুযো োগে আমাদের কম্পিউটারে কাজ করা শিখা হয়ে গেল। আমাদের ভবিষ্যতের সব কাজ কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহার করেই করতে হবে, তাই এখন থেকেই একটু একটু শেখা হলে মন্দ হয় না। আজকেও আমরা ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং-এ কাজ করব। কিন্তু আজকের কাজটি একটি খেলার মতো ো হবে। নিচে কিছু ইনন্ট্রাকশন বা নির্্দদেশনা দেওয়া আছে, কম্পিউটারে একটি ফাইল তৈরি করে এই নির্্দদেশনা অনুসরণ করলে আমাদের ওয়ার্ ্ড ফাইলে কী পরিবর্্তন হবে তা আমরা লিখব। শ্রেণিকক্ষের সব শিক্ষার্থী যেন এই খেলাটিতে অংশগ্রহণ করতে পারে তা লক্ষ রাখব। কম্পিউটারের কী-বো োর্্ডডে এই বামপাশের ঘরের ‘কী’ গুলো ো চাপলে কী ঘটে তা নিচের যে ‘কী’ গুলো ো চাপব ঘরগুলো োতে লেখা নেই সে ঘরগুলো োতে লিখব Ctrl + A ডকুমেন্ট এর পুরো ো অংশ ‘সিলেক্ট’ হয়ে গেছে একটি নির্্দদিষ্ট লিখা সিলেক্ট করে সিলেক্ট করা অংশ কপি হয়ে গেছে Ctrl + C Ctrl + V Ctrl + B Ctrl + X Ctrl + Z Enter Backspace একটি ‘নেভিগেশন’ বার আসবে সেখানে আমরা ডকুমেন্ট-এর একটি Ctrl + F ুঁ শব্দ খুজতে চাই তা লিখেছি এবং Enter চেপেছি। পুরো ো ডকুমেন্টে ঐ শব্দ কো োথায় কো োথায় আছে তা বের হয়ে গিয়েছে। আমরা কম্পিউটারের এই খেলার মাধ্যমে ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং-এর অনেক ‘শর্্টকাট-কী’ শিখে গিয়েছি। মজার ব্যাপার হলো ো, এই শর্্টকার্্টগুলো ো শুধু মাইক্্ররোসফট ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং-এর কাজেই লাগবে না, অন্যান্য অনেক অ্্যযাপ্লিকেশনে কাজ করার সময়ও এসব ‘শর্্টকার্্ট-কী’ কাজে লাগবে। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 7 ডিজিটাল প্রযুক্তি এবার আমরা আমাদের লক্ষষ্যদল বা টার্্গগেট গ্রুপের সমস্যা সমাধানের কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাব। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিব আমার টার্্গগেট গ্রুপের কো োন সমস্যাটি সমাধান করতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে, আমরা কিন্তু আলাদা আলাদা সমস্যা নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ো আমাদের লক্ষষ্যদলের সবাই কম বেশি সম্মুখীন হয় তাই আমরা এমন সমস্যাটি বেছে নিব যা অনেকের উপকার আসবে। দলগত আলো োচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব কো োন সমস্যাটি আমরা বাছাই করব- আমাদের লক্ষষ্যদল আমরা যে সমস্যাটি নিয়ে কাজ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যে কারণে সমস্যাটি চিহ্নিত করেছি। (এই অংশটুকু বাড়ির কাজ) আমাদের সমস্যাটি সমাধানের তথ্য যে উৎসে পাওয়া যেতে পারে। (এই অংশটুকু বাড়ির কাজ) শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 8 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৪: তথ্য অনুসন্ধান ুঁ বের করা এবং এর পেছনের সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে প্রধান এবং গুরুত্বপূর্্ণ কাজ হচ্ছে কো োনো ো সমস্যা খুজে ুঁ কারণ কী তা খুজে বের করা। আমরা এই দুইটি কাজই ইতো োমধ্যে করে ফেলেছি। এবার আমরা তথ্য অনুসন্ধান ুঁ বের করব। করে সমস্যাটির সমাধান খুজে চলো ো আমরা আরেকটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটি বো োঝার চেষ্টা করি– সমস্যার উদাহরণ : শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষক নির্্দদিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সেশন শেষ করতে পারছেন না। আমাদের যে সমাধান খুজতে ুঁ হবে : শ্রেণিকক্ষে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করলে শিক্ষক নির্্দদিষ্ট সময়ে সকল শিক্ষার্থীর একটি সেশনের সব কাজ শেষ করতে পারবেন? সমাধানের তথ্যের উৎস হতে পারে : পত্রিকা, অন্য কো োনো ো শিক্ষক, এই বিষয়ের কো োনো ো বই, ইন্টারনেট। আমরা বাড়িতে গিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধানের জন্য তথ্য খুজে ুঁ বের করব। আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি, কো োনো ো পত্রিকায় আমাদের সমস্যা বিষয়ে লেখা আছে কি না খুজে ুঁ দেখতে পারি অথবা কো োনো ো অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নিতে পারি। তথ্য অনুসন্ধানের কাজটি আমরা বাড়িতে করব, কিন্তু তার আগে তথ্য অনুসন্ধান সম্পর্্ককিত কিছু সাধারণ বিষয় জেনে রাখা ভালো ো। মানবীয় উৎস থেকে তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে- ১। আমরা যখন কো োন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য নিব তখন লক্ষ রাখব, ঐ ব্যক্তি তথ্যটির সাথে সম্পর্্ককিত কি না। অর্্থথাৎ ঐ ব্যক্তি তথ্যটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ কি না। যেমন-একজন ব্যক্তি যিনি কখনো ো কম্পিউটার ব্যবহার করেননি তাকে আমরা জিজ্ঞেস করি না যে কম্পিউটারে কো োন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিৎ। তেমন একজন ডাক্তারের কাছে আমরা জানতে চাইবো ো না.............................................. ২। কো োন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার সময় তার মতামতের চেয়ে প্রকৃত সত্্য বা ফ্্যযাক্টকে গুরুত্ব দিব। মতামত হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা ভাবনা যা অনুভূতির প্রকাশ আর অন্যদিকে ফ্্যযাক্ট হচ্ছে প্রমাণযো োগ্য তথ্য। যেমন-মতামত হচ্ছে ‘আজকে অনেক গরম পড়ছে’ আর ফ্্যযাক্ট হচ্ছে ‘আজকের দিনের তাপমাত্রা 36 ডিগ্রী সেলসিয়াস।’ মতামত হচ্ছে ‘ শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে’, আর ফ্্যযাক্ট হচ্ছে....................................... ৩। ব্যক্তি যে উৎসের উপর ভিত্তি করে তথ্য দিচ্ছে সেই উৎসটি যথেষ্ট বিশ্বাসযো োগ্য কি না, সেটিও দেখা জরুরি। যেমন-কো োনো ো ব্যক্তি এসে বললেন, বাজারে গিয়ে শুনলাম ‘ক’ দেশে 8 মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এখানে উৎস হচ্ছে ‘বাজার’ যেটি কো োন সুনির্্দদিষ্ট ও নির্্ভরযো োগ্য উৎস নয়। এখানে নির্্ভরযো োগ্য উৎস হতে পারে, আজ ২০ তারিখ ‘খ’ টেলিভিশনের 8টার সংবাদে একটি প্রতিবেদনে দেখালো ো ‘ক’ দেশে 8 মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 অনির্্ভরযো োগ্য উৎস হলো ো, গতকাল ইন্টারনেটে দেখলাম ‘ক’ ব্যক্তি বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন, নির্্ভরযো োগ্য উৎস হচ্ছে................................................................................ 9 ডিজিটাল প্রযুক্তি ৪। যখন কো োনো ো ব্যক্তি সুনির্্দদিষ্ট কো োনো ো উৎসের উপর ভিত্তি করে তথ্য দেয় তখন উৎসটি সত্্যযিই ঐ তথ্য দিয়েছে কি না তা আমরা যাচাই করতে পারি। আর সুনির্্দদিষ্ট উৎস উল্লেখ না করলে যাচাই করা সম্ভব হয় না। যেমন-একজন ব্যক্তি সামাজিক যো োগাযো োগ মাধ্যমের মাধ্যমে একটি শিশুর ছবি পাঠিয়ে বিভিন্নজনকে বললেন,‘শিশুটিকে চৌ ৌরাস্তার মো োড়ে পাওয়া গেছে, তার বাবা-মাকে খুজে ুঁ পেতে বেশি বেশি পো োস্টটি/ছবিটি শেয়ার করুন।’ শিশুটির ছবিতে আর কো োনো ো লেখা বা তথ্য উল্লেখ নেই। আর কী কী তথ্য থাকলে আমরা শিশুটির এই ঘটনাকে সত্্য বলে বিশ্বাস করতে পারতাম?.......... ৫। প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি, সময়, স্থান ইত্্যযাদির ভিন্নতার উপর কো োন তথ্য ভিন্ন বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে। তাই কো োন তথ্য নেওয়ার সময় একজন ব্যক্তি কো োন প্রসঙ্গে কখন তথ্যটি দিচ্ছে সেটি বুঝে তথ্যটি নিতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে। যেমন- তুমি ইন্টারনেট সার্্চ করে 2014 সালের একটি সংবাদ থেকে জানতে পারলে বাংলাদেশে দশটি শিক্ষা বো োর্ ্ড, কিন্তু বর্্তমানে সঠিক তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশে এগারটি শিক্ষা বো োর্ ্ড। তো োমার তথ্যটি কি ভুল? হ্্যাাঁ, তো োমার তথ্যটি বর্্তমান সময়ের সাপেক্ষে ভুল। তো োমার তথ্যটি ছিল 2014 সালের, বর্্তমান তথ্যটি 2023 সালের। এই ধরনের আরও একটি উদাহরণ দিই:.......................................................................................................................................................................................................................... বাড়ির কাজ : ুঁ উপরের বিষয়গুলো ো লক্ষ রেখে আমরা বাড়িতে যার যার দলগত চিহ্নিত সমস্যাটির সমাধান খুজতে তথ্য অনুসন্ধান করব। নিচের ঘরে লিখব আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কী কী তথ্য পেয়েছি। আমাদের সমস্যা : ুঁ পেলাম : সমাধানের জন্য যে তথ্য খুজে শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 10 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৫: তথ্য যাচাই তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের ফলে আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত অনেক তথ্য আসে। অনেক সময় একই বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকতে পারে। তাই কো োন তথ্যটি সবচেয়ে বেশি সাম্প্রতিক এবং যথার্্থ তা যাচাই করা জরুরি। এখন আমরা নিচের তথ্য যাচাই করার উপায়গুলো ো বিবেচনা করে শ্রেণিকক্ষে বসেই আমাদের বাড়ির কাজ হিসেবে করে নিয়ে আসা তথ্যগুলো ো শিক্ষকের সহায়তায় যাচাই করব। ১। তথ্যটি কত তারিখে প্রচারিত হয়েছে। (কারণ সময়ের ব্যবধানে আজকের আপাত দৃষ্টিতে কো োনো ো সঠিক তথ্য আগামীকাল ভুল প্রমাণ হয়ে যেতে পারে। যেমন: দেশের মো োট বিভাগ ৭টি এটি ২০১৪ সাল পর্্যন্ত সঠিক তথ্য হলেও ২০১৫ সালের জন্য এটি সঠিক তথ্য নয় কারণ ২০১৫ সালে ময়মনসিংহকে নতুনভাবে বিভাগ ঘো োষণা করা হয়)। ২। যতটা সম্ভব সাম্প্রতিক তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করব। ৩। কো োনো ো নিউজের হেডলাইন বা শিরো োনাম দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিব না, পুরো ো খবর পড়ব। ৪। কো োন মাধ্যমে একটি সংবাদ দেখার পর একই Key Word দিয়ে আবার সার্্চ দিব এবং যাচাই করব, অন্য মাধ্যমও একই সংবাদ দিচ্ছে কি না (ইন্টারনেট-এর সুবিধা থাকলে)। ৫। পত্রিকা বা টেলিভিশনের লো োগো ো দেখেই বিশ্বাস করে ফেলব না যে, সংবাদটি ঐ পত্রিকার বা টেলিভিশনের। যাচাই করার জন্য ঐ পত্রিকা বা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে যাব। ৬। আমি যে প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিতে চাই সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে যাব। লক্ষ রাখব হাইপারলিংকটি ঠিক আছে কি না। যেমন-বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড এর কো োনো ো তথ্য বা নো োট চাইলে হাইপারলিংকটি হবে এরকম-http://www.nctb.gov.bd অনেক সময় কেউ যদি পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড এর নামে কো োনো ো ভুল তথ্য প্রচারণা করতে চায়, তাহলে পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড এর ওয়েবসাইটের মত নকল একটি ওয়েবসাইট তারা বানিয়ে রাখতে পারে, সেক্ষেত্রে হাইপারলিংকটি দেখতে ভিন্ন রকম হতে পারে। সেই লিংকে কো োনো ো একটি দুইটি অক্ষর এলো োমেলো ো থাকবে, যেমন-c এর জায়গায় n, b এর জায়গায় d, o-এর জায়গায় i, এরকম এলো োমেলো ো করে অক্ষরগুলো ো থাকবে, যা হয়তো ো আমাদের সহজে চো োখে পড়বে না। তাই তথ্য নেওয়ার আগে লিংকটি ঠিক আছে কি না তা দেখে নেওয়াটা জরুরি। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 11 ডিজিটাল প্রযুক্তি আজকের সেশনে তথ্য যাচাই করার সময় নতুন কী জানলাম তা লিখব : শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 12 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৬: তথ্য উপস্থাপনে কনটেন্ট তৈরি আমরা আমাদের লক্ষষ্যদলের একটি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার জন্য তথ্য অনুসন্ধান ও যাচাই করে একটি ুঁ বের করেছি। কিন্তু এই সমাধানটি তাদের কীভাবে জানাব? আমরা বাড়িতে গিয়ে তাদের জানিয়ে সমাধান খুজে দিলে তারা জেনে যাবেন কিন্তু তাদের কাছে যদি সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারি তবে সে সমাধানটি সত্্যযিই তাদের কাজে লাগবে। আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম, আমাদের সমাধানটি জানানো োর জন্য আমরা কনটেন্ট তৈরি করব। আমরা কি জানি, কনটেন্ট কী? শৈবাল আজকে বিদ্যালয় আসার সময় দেখল অনেক মেঘ করেছে, ও ক্লাসে এসে তার বন্ধুদের বলল ‘জানিস আজকে বৃষ্টি হবে।’ শৈবাল তার বন্ধুদের তার চারপাশের পরিবেশ পর্্যবেক্ষণ করে একটি তথ্য দিলো, এটি হচ্ছে তার মতামত। একই তথ্য যদি শৈবাল একটি মেঘের ছবি তুলে, সেখানে তার নাম লিখে বৃষ্টির পূর্্ববাভাস লিখে কো োনো ো একটি মাধ্যমে প্রচার করে তার বন্ধুদের জানাত তাহলে আমরা সেই তথ্যটিকে বলতে পারতাম শৈবালের তৈরি করা ‘বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট’। মালা গতকাল মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিল। একটি দো োকান থেকে কলম কিনতে গেলে দো োকানি তাকে বললেন, ‘দুইটি কলম কিনলে একটি কলম ফ্রি।’ মালা খুব খুশি হলো ো। মালা দো োকানির কাছ থেকে তথ্যটি জানল। মালা যদি বাজারে একটি পো োস্টারে ওই দো োকানের বিজ্ঞাপন দেখত, ‘দুইটি কলম কিনলে একটি কলম ফ্রি’ তাহলে ওই পো োস্টারের বিজ্ঞাপনটিকে বলা যেত একটি ‘বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট’। কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু হলো ো একটি নির্্দদিষ্ট বিষয়ের উপর বিভিন্নরকম তথ্যের সংকলন (সংযো োগ বা একত্রিত করা) যা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠক বা দর্্শকের বো োঝার উপযো োগী করে তৈরি করা হয়। বইয়ের গল্প, নাটক, সিনেমা, খবর, গান এগুলো োই হচ্ছে কনটেন্ট। কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু শুধু যে আমাদের তথ্য দেয় তা কিন্তু না, এটি আমাদের বিনো োদনও দেয়। আমরা আমাদের লক্ষষ্যদলকে আমাদের সমাধানটি জানানো োর জন্য একটি কনটেন্ট তৈরি করব। কিন্তু আমাদের টার্্গগেট গ্রুপ বা লক্ষষ্যদল ভিন্ন ভিন্ন। তিনটি দলের টার্্গগেট গ্রুপ আলাদা, তাই তাদের কনটেন্ট-এর পছন্দের বিষয়ও হতে পারে আলাদা আলাদা। তাই চলো ো আমরা নিজেরাই একটু বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন লক্ষষ্যদলের কনটেন্ট পছন্দের ভিন্নতা কেমন হতে পারে- শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 13 ডিজিটাল প্রযুক্তি নিচের ঘরে আমরা ভিন্ন ভিন্ন লক্ষষ্যদলের পছন্দের কনটেন্ট কী হতে পারে তা অনুমান করে লিখি- লক্ষষ্যদল পছন্দের কনটেন্ট হতে পারে শিশু, যে পড়তে পারে না ছড়া, গান, কার্টুন ইত্্যযাদি শিশু, যে পড়তে শিখেছে কার্টুন, গল্পের বই, গেইমস ইত্্যযাদি কিশো োর/কিশো োরী মধ্যবয়সি নারী মধ্যবয়সি পুরুষ রিকশাচালক মুদি দো োকানি বৃদ্ধ, যিনি চো োখে দেখতে পারেন না এবার আমাদের লক্ষষ্যদলের জন্য কনটেন্ট নির্ ্ধধারণ করতে হবে। আমরা দলে আলো োচনা করে ঠিক করব আমাদের সমস্যার সমাধানের ধরন এবং আমাদের লক্ষষ্যদলের ভিন্নতার উপর নির্্ভর করে কনটেন্টটি কী হতে পারে। নিচে কিছু কনটেন্ট-এর উদাহরণ দেওয়া হলো ো- ১। ছবির পর ছবি সাজিয়ে গল্প ৈতরি ২। ছড়াগান ৩। ডিজিটাল পো োস্টার ৪। ভিডিও ৫। প্রেজেন্টেশন ৬। মো োবাইল ফো োনে নাটক তৈরি শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 ৭। কমিকস 14 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৭: ‘উপস্থাপন সফটওয়্্যযার’ শিখে কনটেন্ট তৈরি আমরা আমাদের লক্ষষ্যদল থেকে প্রাপ্ত সমস্যাগুলো োর সমাধান শ্রেণিবিন্যাস করতে মাইক্্ররোসফট ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং অনেকখানি শিখেছি। মজার ব্যাপার হলো ো, ছো োটবেলায় আমরা যখন নামতা শিখেছিলাম আমাদের একটু সময় লেগেছিল কিন্তু এখন একটু ভাবলে বুঝতে পারি এই নামতাগুলো ো শুধু গাণিতিক কাজ করার জন্যই না বরং প্রতিদিনের জীবনে হিসেব নিকেশ করতেও কাজে লাগছে। ওয়ার্ ্ড প্রসেসিংও ঠিক একই রকম, এটি শিখে গেলে অন্য সফটওয়্্যযার আমরা সহজে আয়ত্ত করতে পারব। আজকে আমরা কম্পিউটারের আরও একটি সফটওয়্্যযারের সাথে পরিচিত হব। সেটি হলো ো, ‘মাইক্্ররোসফট পাওয়ার পয়েন্ট’। এটি অনেক বেশি ব্যবহৃত একটি উপস্থাপনা সফটওয়্্যযার। এছাড়া উপস্থাপনার জন্য প্রেজি, ক্্যযানভা, গুগল স্লাইড এরকম আরও অনেক সফটওয়্্যযার আছে। তবে ‘মাইক্্ররোসফট পাওয়ার পয়েন্ট’ যেহেতু বেশ সহজ, তাই আমরা সবার আগে এটি শিখে নিব, এটি জানা থাকলে অন্যান্যগুলো ো শেখা অনেক সহজ হবে। ১। ওয়ার্ ্ড প্রসেসিং-এর মতো োই, প্রথমে মাউসের ডান পাশে ক্লিক (রাইট ক্লিক) করে ‘New’তে ক্লিক করলে অনেকগুলো ো সফটওয়্্যযারের নাম আসবে, আমরা ‘Microsoft PowePoint Presentation’ সিলেক্ট করব। এবার একটি ফাইল তৈরি হয়ে যাবে। পূর্্ববের মতো োই ‘Rename’ করে আমাদের পছন্দমতো ো নাম দিব। ফাইলটির উপর ডাবল ক্লিক করে ফাইলটি খুলব। ২। পাওয়ার পয়েন্টে অনেক অনেক ফিচার রয়েছে যা আমরা নিজে নিজে প্রয়ো োগ (অ্্যযাপ্লাই) করলে খুব মজা করে শিখতে পারব। তবে শুরুটা করতে হবে বাম পাশের ‘New Slide’ থেকে। এখানে ক্লিক করলে একটি নতুন পৃষ্ঠা আমাদের উপস্থাপনা ফাইলে যো োগ হওয়ার জন্য অনেকগুলো ো অপশন আসবে। আমরা পছন্দমতো ো একটি স্লাইড সিলেক্ট করব যেখানে আমরা আমাদের পরবর্তী কাজগুলো ো করব। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 15 ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইক্্ররোসফট পাওয়ার পয়েন্ট-এর কাজগুলো ো ধাপে ধাপে বর্্ণনা করা জানতে গেলে আমাদের কাজ করতে একটু সময় লেগে যাবে, তার চেয়ে বরং মেন্যুবারের কিছু টুলস-এর কাজ কী তা জেনে নিয়ে নিজেরাই চেষ্টা করি একটি প্রেজেন্টেশন বানানো োর। ‘Home’ মেন্যুবারে কো োনো ো লেখাকে ছো োট-বড়, লেখার ফন্ট পরিবর্্তন, রং পরিবর্্তন, কো োনো ো পরিচ্ছেদকে সমান করা, পৃষ্ঠায় কো োনো ো লেখার অবস্থান ঠিক করা, এই কাজগুলো ো করা যায়। ‘Insert’ মেন্যুবারে ছবি, ছক, বক্স, আইকন ইত্্যযাদি বসানো ো যায়। সর্্বডানের ‘Media’ মেন্যু থেকে আমরা ভিডিও এবং অডিও যুক্ত করতে পারি। এক্ষেত্রে আমার কম্পিউটারে এই ছবি, ভিডিও বা অডিও আগে থেকে সেইভ বা জমা রাখতে হবে। কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে ‘Insert’ মেন্যুবার সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। ‘Design’ মেন্যুবার থেকে আমরা আমাদের প্রেজেন্টেশনের ডিজাইন বাছাই করতে পারব। ‘Transitions’ মেন্যুবার থেকে আমরা আমাদের প্রেজেন্টেশনের একটির পর একটি পৃষ্ঠা কীভাবে আসবে তা বাছাই করতে পারি। ‘Animations’ মেন্যুবারটি সবচেয়ে মজার। যে কো োনো ো লেখা, ছবি, আকৃতি (শেইপ) ইত্্যযাদি যুক্ত করার পর এগুলো োকে বিভিন্ন ডিজাইনে চলনশীল করা সম্ভব। ‘Add Animation’ টুলস-এ ক্লিক করে এটি তিনভাবে ব্যবহার করা যায়। - ছবি, লেখা বা আকৃতিটি কীভাবে আসবে - ছবি, লেখা বা আকৃতিটি স্লাইড বা পৃষ্ঠায় কীভাবে থাকবে - ছবি, লেখা বা আকৃতিটি স্লাইড বা পৃষ্ঠা থেকে কীভাবে চলে যাবে উল্লিখিত নির্্দদেশনাগুলো ো অনুসরণ করে আমরা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বা সম্ভব হলে বাসার কম্পিউটারে এই কাজগুলো ো করব। আগামী সেশনে আমরা নিজেদের দলের কনটেন্টটি শ্রেণিতে বসেই শেষ করব। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 16 ডিজিটাল সময়ের তথ্য সেশন-৮: একটি সফটওয়্্যযার থেকে বিভিন্ন রূপে উপস্থাপন আমরা দলগতভাবে একটি লক্ষষ্যদল বা টার্্গগেট গ্রুপ ঠিক করে তাদের একটি সমস্যা নির্ ্ধধারণ করেছি আর সেই সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে একটি কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করেছি। আজকের সেশনে আমরা অবশেষে একটি কনটেন্ট তৈরি করতে যাচ্ছি। আমরা শ্রেণিতে বসেই কনটেন্ট তৈরির কাজটি করব। আজকে আমরা নতুন কো োনো ো নির্্দদেশনা নিয়ে আলো োচনা না করে সরাসরি কাজে চলে যাব। কাজটি শেষ হওয়ার পর আমরা এটিকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সংরক্ষণ করব। সর্্ববামের ‘File’-এর ‘Save As’-এ ক্লিক করলে আমরা কো োন ফরম্যাটে আমাদের ডকুমেন্টটি সংরক্ষণ বা সেইভ করতে চাই তা চিহ্নিত করতে পারব। - আমরা যদি একটি ডিজিটাল পো োস্টার তৈরি করতে চাই তাহলে ‘JPG বা JPEG’ ফরম্যাট-এ সেইভ করব। - আমরা যদি আমাদের প্রেজেন্টেশনটা একটি ভিডিও আকারে প্রচার করতে চাই তাহলে ‘MP4’ ফরম্যাটে প্রেজেন্টেশনটি সেইভ করব। - আর যেমন করে প্রেজেন্টেশন বানালাম তেমনি যদি প্রেজেন্টেশন বা উপস্থাপন করতে চাই তাহলে ‘Microsoft PowePoint Presentation’-এ সেইভ করব। শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 17 ডিজিটাল প্রযুক্তি পুরো ো অভিজ্ঞতা জুড়ে আমরা দলীয়ভাবে কাজ করেছি। কাজ শেষ করে আমরা দলের সবাইকে মূল্যায়ন করব। সহপাঠী মূল্যায়ন : দলে কাজ করার ক্ষেত্রে বন্ধু সদস্যের যে ভূমিকা দলের বন্ধু সদস্যের নাম আমার ভালো ো লেগেছে শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 18 ডিজিটাল সময়ের তথ্য আমাদের উপস্থাপনা শেষ হলে শিক্ষকের সহায়তায় আমরা আমাদের লক্ষষ্যদলের সামনে কনটেন্টটি উপস্থাপন করব (বিদ্যালয়ে, বাড়িতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে) এবং তাদের মতামত নিব এবং নিচের তারকা ভরাট করতে বলব। তারকার নিচে লক্ষষ্যদল একটি স্বাক্ষরও দিতে পারেন। লক্ষষ্যদলের মতামত : শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 19 ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার ২ ইতো োপূর্্ববে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও স্বত্বাধিকারীর অধিকার সম্পর্্ককে জানতে পেরেছি। কিন্তু যখন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্্যযিক কাজে অন্য কাউকে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ আমরা ব্যবহার করতে দেব, আমাদের কিছু নীতিমালা তৈরি করে নেওয়া উচিত। এর ফলে কেউ আমাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অপব্যবহার করতে পারবে না। তুমি কি ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’র নাম শুনেছ? এটি একটি সংকলনগ্রন্থ, যাতে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পালাগান লিপিবদ্ধ করা আছে। এই পালাগানগুলো ো প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছিল ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ প্রথমে চন্দ্রকুমার দে সংগ্রহ করা শুরু করেন। এরপর ড. দীনেশ চন্দ্র সেন সবগুলো ো পালাগান একত্র করে সম্পাদনা করেন ও গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন। যদি এই কাজ না করা হতো ো তাহলে আজ হয়তো ো আমরা এই অসাধারণ সংকলন পেতাম না। কেমন হয় যদি আমরা নিজেরাই আমাদের এলাকায় কো োনো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে যথাযথভাবে বাণিজ্্যযিক ব্যবহারের উপযো োগী করে তুলতে পারি? এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা সেটা করার চেষ্টা করব। সেশন-১: ব্যক্তিগত ও বাণিজ্্যযিক কাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার হাসির বাবা আফজাল হো োসেনের একটি দই তৈরির কারখানা আছে। এই কারখানায় তৈরি দই বাজারে ‘হাসি দই’ নামে বিক্রি হয়। আজ হাসি এই দই কিনে হঠাৎ অবাক হয়ে আবিষ্কার করে দইয়ের স্বাদ অন্যরকম লাগছে। ভালো ো করে প্যাকেট লক্ষ করে দেখল সেখানে ‘হাসি দই’-এর পরিবর্্ততে ‘হাস দই’ লেখা। অথচ প্যাকেট দেখতে একই রকম, একই রং, একই সাইজ, লেখার ফন্টও একই রকম, সবকিছুই মিল আছে, শুধু ‘হাসি’র জায়গায় ‘হাস’ লেখা। সেটা খুব ভালো ো করে খেয়াল না করলে হঠাৎ বো োঝার উপায় নেই যে, এটা যে হাসি দই না! হাসি খুব চিন্তিত হয়ে বাবার কাছে গিয়ে প্যাকেট দেখিয়ে পুরো ো ঘটনা খুলে বলল। আফজাল হো োসেন সবকিছু শুনে বললেন, হাসি তো োমাকে অনেক ধন্যবাদ এই ব্যাপারটি লক্ষ করার জন্য। তবে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমাদের হাসি দইয়ের স্বাদ অন্য দইয়ের তুলনায় আলাদা, তার কারণ এই দই তৈরির প্রণালি আমার উদ্ভাবন করা এবং সেটি বেশ আলাদা অন্যগুলো োর তুলনায়। এ কারণে এই দই তৈরির প্রণালি বা ফর্মুলা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। যারা আমাদের কো োম্পানির দই নকল করে প্রায় হুবহু একই নামে বাজারে ছেড়েছে, আমি দ্রুত আমার একজন উকিল বন্ধুর সঙ্গে পরামর্্শ করে আইনি ব্যবস্থা শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 গ্রহণ করব। 20 বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার যেহেতু আমাদের ট্রেডমার্্ক করা আছে, তাই যারা আমাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ নকল করে বাণিজ্্যযিকভাবে ছেড়েছে, তাদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ও বাণিজ্্যযিকভাবে এই পণ্য বাজারে বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। হাসি এখন একটু দুশ্চিন্তামুক্ত হলো ো। উপরের গল্পে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আফজাল হো োসেন একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ তৈরি করেছেন। তিনি যে ফর্মুলা ব্যবহার করে হাসি দই তৈরি করেছেন, সেটি অন্য দইয়ের ফর্মুলা থেকে ভিন্ন। তাই এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। এরপর তিনি এটি বাজারজাত করেছেন। বাজার থেকে যারা হাসি দই কিনছে, তারা কিন্তু শুধু পণ্য হিসেবে ব্যক্তিগত কাজে এটি কিনছে। অর্্থথাৎ এই দই কেনার সময় তারা দইটি শুধু খাবার অধিকার পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ নির্্দদিষ্ট টাকা দিয়ে কেনার সময় পণ্যটি একজন মানুষ ব্যবহারের সুযো োগ পেলেও সেটি বাণিজ্্যযিক কাজে ব্যবহারের অধিকার পান না। অন্যদিকে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান যারা প্রায় হুবহু হাসি দইয়ের আদলে বাজারে হাস দই ছেড়েছেন তারা পণ্যটিকে বাণিজ্্যযিক কাজে ব্যবহার করছেন। বাণিজ্্যযিক কাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদটির যিনি স্বত্বাধিকারী তার থেকে যথাযথ আনুষ্ঠানিক অনুমতি নিয়ে, তার সঙ্গে চুক্তিপত্র করে তবেই বাণিজ্্যযিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। এবারে আমরা একটি কাজ করি, নিচে বেশকিছু বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো ো থেকে আমরা বের করি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদটি ব্যক্তিগত কাজে নাকি বাণিজ্্যযিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারটি যথাযথ হচ্ছে কি না। ক. মিজান বাংলা সিনেমা দেখার জন্য একটি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করল। সেখানে নির্্দদিষ্ট ফি পরিশো োধ করে তাদের গ্রাহক হলো ো। কিন্তু ওই ওয়েবসাইটে সিনেমাটি দেখানো োর জন্য সিনেমার প্রযো োজকের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি। মিজান এখন খুশি মনে পছন্দের সিনেমা দেখছে। সিদ্ধান্ত : মিজান ব্যক্তিগত কাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবহার করছে। কিন্তু ওয়েবসাইটটি সিনেমাটি প্রদর্্শনের অনুমতি না নিয়েই তাদের প্ল্যাটফরমে বাণিজ্্যযিক কাজে সেটি ব্যবহার করছে। কাজেই তারা নিয়ম মানছে শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 না ও সিনেমার প্রযো োজক ওয়েবসাইটের স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। 21 ডিজিটাল প্রযুক্তি ুঁ খ. মিতু প্রয়ো োজনীয় একটি সফটওয়্্যযার অনলাইনে খুজতে গিয়ে দেখল ৫০ টাকা দিয়ে সফটওয়্্যযারটির প্রস্তুতকারক কো োম্পানি থেকে লাইসেন্স কিনে নিতে হবে। মিতুর বন্ধু হেনা বলল, আমার কাছেই সফটওয়্্যযারটি আছে, কেনার কো োনো ো প্রয়ো োজন নেই, তুই আমার কাছ থেকে সফটওয়্্যযারটি কপি করে নিস। মিতু বলল এটা একদম উচিত হবে না। তখন সফটওয়্্যযারটি কেনার যথাযথ ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটির লাইসেন্স কিনে নিয়ে মিতু এখন ব্যবহার করছে। সিদ্ধান্ত : শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 22 বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার গ. একটি বিখ্যাত কো োমল পানীয় তৈরির কো োম্পানি তাদের ফর্মুলা বাংলাদেশের একটি বাজারজাতকরণ কো োম্পানির কাছে চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রদান করল। কিন্তু অন্য আরেকটি কো োম্পানি সেই একই কো োমল পানীয়’র নামে বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করল। তখন যে কো োম্পানি এই ফর্মুলা কিনে নিয়েছিল, তারা আদালতের দ্বারস্থ হলো ো। সিদ্ধান্ত : শিক্ষাবর্ ্ষ 2024 23 ডিজিটাল প্রযুক্তি ঘ. রায়হান একটি ভ্রমণবিষয়ক বই লিখেছে তার ভ্রমণ করা বিভিন্ন স্থানের অভিজ্ঞতা নিয়ে। রায়হান একটি প্রকাশক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মেধাস্বত্ব পাবার শর্্ততে বইটি প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে?

Use Quizgecko on...
Browser
Browser