Screenshot_20240924_123833.jpg

Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...

Transcript

## ছায়া ইতিহাস SEMESTER-I - পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাচীন যুগকে তিনভাগে ভাগ করা হয় - প্রাগৈতিহাসিক যুগ (Pre-Historic Age) - প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ (Proto-Historic Age) - ঐতিহাসিক যুগ (Historic Age) ### ইতিহাসের গতিধারা - প্রাগৈতিহাসিক যুগ - প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ - ঐতিহাসিক যুগ ### 1.1.1...

## ছায়া ইতিহাস SEMESTER-I - পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাচীন যুগকে তিনভাগে ভাগ করা হয় - প্রাগৈতিহাসিক যুগ (Pre-Historic Age) - প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ (Proto-Historic Age) - ঐতিহাসিক যুগ (Historic Age) ### ইতিহাসের গতিধারা - প্রাগৈতিহাসিক যুগ - প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ - ঐতিহাসিক যুগ ### 1.1.1 প্রাগৈতিহাসিক যুগ-প্রাক্-ইতিহাস 1. **সময়কাল**: মানবসংস্কৃতির প্রারম্ভকাল থেকে শুরু করে লিখিত উপাদানের প্রাপ্তিকালের মধ্যবর্তী সময়কালকে বলা হয় 'প্রাগৈতিহাসিক যুগ' (Pre-Historic Age)। এক কথায়, যে যুগের কোনো লিখিত ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায় না সেই যুগকে 'প্রাগৈতিহাসিক যুগ' বলা হয়। 2. **কথাটির ব্যবহার**: ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ পল তুর্নাল দক্ষিণ ফ্রান্সের গুহায় প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনগুলির বিবরণ দিতে গিয়ে ১৮৩০-এর দশকে সর্বপ্রথম প্রাক্ ইতিহাস কথাটি ব্যবহার করেন এবং এটি ইংরেজি ভাষায় প্রথম ব্যবহার করেন ড্যানিয়েল উইলসন, ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে 'The Archaeology and Pre-Historic Annals of Scotland' গ্রন্থে। পরবর্তীকালে ডেভিড ব্রুনো, ব্রায়ান ফ্যাগান প্রমুখ ঐতিহাসিক এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। 3. **ইতিহাসের উপাদান**: এসময় মানুষ লিপি বা অক্ষরের ব্যবহার জানত না, তাই এসময়ের কোনো লিখিত বিবরণ নেই। এ যুগের মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ার, বাসস্থান, মৃৎশিল্প, গৃহস্থালির সরঞ্জাম প্রভৃতি অর্থাৎ কেবলমাত্র প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করেই এ যুগের ইতিহাস রচিত হয়। এই ইতিহাসই হল প্রাক্-ইতিহাস (Pre-History)। ভারতে হরপ্পা সভ্যতার পূর্বের কোনো লিখিত ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায়নি বলে প্রাক্-হরপ্পা যুগ ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগ। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ বলতে গুহামানব এবং জন্তু বলতে ডাইনোসরদের উদাহরণ দেওয়া যায়। 4. **উপবিভাগ**: বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ববিদ পাথরে নির্মিত হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি লক্ষ করে প্রাগৈতিহাসিক যুগকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন- - প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Palaeolithic Age) - মধ্য প্রস্তর যুগ (Mesolithic Age) - নব্য প্রস্তর যুগ (Neolithic Age)। - প্রাচীন প্রস্তর যুগকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়- - নিম্ন/আদি প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Lower Palaeolithic Age) - মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Middle Palaeolithic Age) - উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Upper Palaeolithic Age) । ### 1.1.2 প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ-প্রায়-ইতিহাস 1. **সময়কাল-লিপির ব্যবহার**: 'প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ' (Proto-Historic Age) বলতে সেই যুগকে বোঝায়, যখন লিপির ব্যবহার শুরু হয়েছে, কিন্তু আজও পর্যন্ত যার যথাযথ পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। টিমোথি টেলর (Timothy Taylor)-এর মতে প্রায়-ইতিহাস হল ইতিহাসের সেই পর্ব বা সময়কাল, যে সময় ইতিহাসের সবেমাত্র অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে। প্রায়-ঐতিহাসিক যুগকে একটি 'যুগ সন্ধিক্ষণ' বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে হরপ্পা সভ্যতার কথা বলা যায়। হরপ্পা সভ্যতায় লিপির প্রচলন হয়েছিল। কিন্তু 'সিন্ধুলিপি' নামে হরপ্পা সভ্যতার এই লিপির যথাযথ পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি। 2. **সময়কাল-ধাতুর ব্যবহার**: অনেকে আবার 'প্রাক্-ইতিহাস' ও 'প্রায়-ইতিহাস' পর্যায়ভেদে লিপিজ্ঞানের এই অতি সরল বিভাজনকে গুরুত্ব দিতে চান না। তাঁরা ভারতে ধাতুর অর্থাৎ তাম্র-ব্রোঞ্জ ব্যবহারের সূত্রপাত থেকে লৌহ যুগের সূচনা পর্যন্ত কালপর্বটিকে 'প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ' হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ যুগের মানব সভ্যতার ইতিহাস 'প্রায়-ইতিহাস' নামে পরিচিত। 3. **ধাতুর ব্যবহারভিত্তিক যুগ বিভাজনের সমস্যা**: ধাতুর ব্যবহারের ভিত্তিতে ভারতে যুগ বিভাজনের কিছু সমস্যা আছে। ভারতের সর্বত্র ধাতুর ব্যবহারের ক্রম-পরিবর্তন সমানভাবে হয়নি। উত্তর ভারতে পাথরের পরেই তামা এবং তামার পর লোহার ব্যবহার শুরু হয়। অর্থাৎ উত্তর ভারতে প্রস্তর, তাম্র এবং লৌহ যুগ পরপর আসে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে প্রস্তর যুগের পরেই আসে লৌহ যুগ-তামার যুগ সেখানে অনুপস্থিত। ইউরোপে পৃথক ব্রোঞ্জ যুগের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু ভারতে পৃথক কোনো ব্রোঞ্জ যুগের অস্তিত্ব ছিল না। এখানে তামা ও ব্রোঞ্জ ধাতু একই সঙ্গে ব্যবহৃত হতে থাকে। - Class XI

Tags

historical period prehistoric age ancient civilization
Use Quizgecko on...
Browser
Browser