দারসুল কুরআন ১২ PDF
Document Details
Uploaded by Deleted User
Tags
Summary
This document is a religious study document titled “দারসুল কুরআন”. It explains the meaning of the Qur'an, including discussions on major and minor sins (kabira and sagira).
Full Transcript
দারসুল কুরআন, দারস নং ১২ তারিখ : ১৭ সফর ১৪৪৬ হি., ২৩-০৮-২৪, সূরা নিসা : ৩১ নং আয়াত দারসপ্রদানে : উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম কাসেমী আজহারি হাফিজাহুল্লাহ...
দারসুল কুরআন, দারস নং ১২ তারিখ : ১৭ সফর ১৪৪৬ হি., ২৩-০৮-২৪, সূরা নিসা : ৩১ নং আয়াত দারসপ্রদানে : উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম কাসেমী আজহারি হাফিজাহুল্লাহ ٰ الرحمن الرحيم بسم هللا ٓاِئر َما ُت ْن َه ْو َن َع ْن ُه ُن َك ِّفرْ َع ْن ُك ْم َسي ِّٰا ِت ُك ْم َو ُن ْدخ ِْل ُك ْم م ُّْد َخاًل َك ِر ْيمًا َ اِنْ َتجْ َت ِنب ُْوا َك َب ‘তোমাদেরকে যেই বড় বড় গুনাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তোমরা যদি তা পরিহার করে চল, তবে আমি নিজেই তোমাদের ছোট ছোট গুনাহ তোমাদের থেকে মিটিয়ে দেব এবং তোমাদেরকে এক মর্যাদাপূর্ণ স্থানে দাখিল করব।’ [সূরা নিসা : ৩১] কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ তা’আলা দুইটি প্রতিদান দিবেন - ১. সগীরা অর্থাৎ ছোট পাপগুলো মাফ করে দিবেন। উক্ত আয়াতে ٰ ()سيات-দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সগীরা গুনাহ। ()كبائر-এর অর্থ হলো কবীরা গুনাহ ২. সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবেন। তাহলো জান্নাত। কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা : কবীরা গুনাহের সবচে’ প্রসিদ্ধ সংজ্ঞা হলো -.ما كان فيه حد في الدنيا أو جاء فيه وعيد في اآلخرة بالعذاب أو بالغضب أو كان فيه تهديد أو لعن لفاعله ‘কবীরা গুনাহ এমন গুনাহকে বলে যে গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়ায় দন্ডবিধির উল্লেখ আছে। যেমন : যিনা, মদ পান। অথবা এমন গুনাহ যার ব্যাপারে পরকালে আযাব অথবা গযবের ধমকি এসেছে , অথবা এই গুনাহ যে করবে তার কর্ত ার উপর ধমকি অথবা অপভিশাপের বর্ণনা এসেছে।’ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত , তিনি বলেছেন, اللمم ما دون الحدين حد في الدنيا واآلخرة ‘কবিরা গুনাহের একটি আলামত হলো যার ব্যাপারে হদ্দ-এর বিধান দেয়া হয়েছে ।’ ইমাম কুরতু বী রহ. ُ عظم الشر ُع التوعد عليه بالعقاب و َشدَّد أو عظم ضررُه في الوجود فهو كبيرة وماعداه صغيرة َّ كل ذنب ‘প্রত্যেক এমন গুনাহ যাকে শরীয়ত অনেক বড় গুনাহ হিসেবে বিবেচিত করেছে এবং সে গুনাহের ব্যাপারে শরীয়ত কোনো শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছে, অথবা সেই গুনাহর অনেক বড় খারাপি রয়েছে তাহলো কবিরা গুনাহ । এই কবিরা গুনাহ ব্যতীত যা রয়েছে তা সগিরা গুনাহ। ’ ইমামা কুরতু বী রহ. বলেছেন, كل ذنب أطلق الشرع عليه أنه كبيرة أو عظيم أو أخبر بشدة العقاب عليه أو علَّ َق عليه حدا أو شدد نكيرة عليه وغلظه و شهد ٰبذلك كتاب هللا أو سنة أو إجماع ‘প্রত্যেক এমন গুনাহ যেটার ব্যাপারে শরীয়ত বলেছে যে এটা কবীরা গুনাহ (অনেক গুনাহ আছে যার ব্যাপারে কুরআন সুন্নায় কবীরা শব্দ উল্লেখ রয়েছে)। অথবা عظيمশব্দ ব্যবহার করেছে অথবা এই গুনাহ যে করবে সে অনেক বড় শাস্তির যোগ্য হবে অথবা সেই গুনাহের ব্যাপারে কোনো হদ্দ(দন্ডবিধি)-এর উল্লেখ করেছে অথবা শরীয়ত সেই গুনাহকে কঠোরভাবে অপছন্দ করেছে এবং ঐ গুনাহের ব্যাপারে কুরআনে অথবা হাদীসে এসেছে অথবা উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে। ’ ইমাম আল-হাফিয ইবনু হাজার আল আসকালানী রহ. কবিরা গুনাহের এই সংজ্ঞাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ইবনু হাজার আসকালানী রহ. , তিনি অনেক বড় মুহাক্কিক মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি এমন পর্যায়ের আলিমদের অন্তর্ভু ক্ত যাদের কথা সমস্ত উলামায়ে কেরাম গ্রহণ করেন। যারা বিভিন্ন কথা তারজীহ দিয়ে থাকেন। এমনি আরেকজন হলেন ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী। উনাদের সাথে একজ মুসলিমের পরিচয় থাকা উচিত। বিশেষ করে একজন তালিবুল ইলমের অবশ্যই এই আলিমদের ব্যাপারে জানা উচিত৷ ইমাম যাহাবী রহ. কবিরা গুনাহ সম্পর্কে ‘আল কাবায়ের’ নামক কিতাবে সত্তরটি কবিরা গুনাহের কথা উল্লেখ করেছেন। ইবনু-হাজার হায়সামী রহ. কবিরা গুনাহ সম্পর্কে ( )الزواجر عن اقتراف الكبائرলিখেছেন৷ কবিরা গুনাহের সংখ্যা : কবিরা গুনাহের সংখ্যা নাম নিয়ে উলামায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে৷ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেছেন, কবিরা গুনাহ চারটি৷ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাযি. বলেছেন, কবিরা গুনাহ সাতটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযি. বলেছেন , কবিরা গুনাহ নয়টি৷ কেউ কেউ বলেছে দশটি৷ কেউ বলেছেন সত্তরটি। ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযী রহ. তার তাফসীরে উল্লেখ করেছেন, আবু তালিব আল-মাক্কী রহ. বলেছেন, আমি কবিরা গুনাহ সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের বাণীসমূহ জমা করেছি। তাতে আমি পেয়েছি চারটি কবিরা গুনাহ এমন আছে যা ক্বলবের সাথে সম্পৃক্ত। তাহলো - ১.আল্লাহর সাথে শিরক করা ()الشرك باهلل ২.ধারাবাহিকভাবে গুনাহ করতেই থাকা ()اإلصرار على المعصية একটি উসূল হলো, اإلصرار على الصغيرة كبيرة সগীরা গুনাহ ধারাবাহিকভাবে করতে থাকা কবিরা গুনাহ। ৩.আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া ()القنوط من رحمة هللا ৪. আল্লাহর কৌশল থেকে নিরাপদ মনে করা ( )األمن من مكر هللا আল্লাহর রহমত থেকে কখনো নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ال تقنطوا من رحمة هللا ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না ’ [সূরা যুমার : ৫৩] একজন ব্যক্তি যতই গুনাহ করুক না কেন ইসলামে তা মোচনের বড় সুযোগ রয়েছে৷ তাহলো তাওবা। তাই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। এটি ইসলামের সৌন্দর্য, মহানুভবতা৷ কোনো ব্রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী কাজ করলে সে অপরাধী সাব্যস্ত হয়। তার অপরাধ মুছে যায় না । রাষ্ট্র চাইলে যতদিন পর ইচ্ছা ঐ ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে পারে। কিন্তু একজন ব্যক্তি গুনাহ করলে তার গুনাহ মোচনের অনেক বড় সুযোগ রয়েছে৷ হাদীসে এসেছে, التائب من الذنب كمن ال ذنب له ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতু ল্য।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪২৫০] আবু তালিব মাক্কি রাহি. বলেন জবান সংক্রান্ত চারটি কবিরা গুনাহ- ১. মিথ্যা কথা বলা ২. নিরপরাধ নারীকে জিনার অপবাদ দেওয়া ৩.মিথ্যা শপথ করা ৪.জাদু করা তিনটি এমন কবিরা গুনাহ রয়েছে যা পেট সংক্রান্ত ১. মদ পান করা ২. ইয়াতিমদের মাল ভক্ষণ করা ৩. সুদ খাওয়া দুইটি কবিরা গুনাহ লজ্জাস্থানের সাথে সম্পর্কি ত ১.জিনা করা ২.সমকামিতা করা দুটি কবিরা গুনাহ এমন রয়েছে যা হাতের সাথে সম্পর্কি ত ১.কতল করা ২.চু রি করা একটি কবিরা গুনাহ এমন রয়েছে যা পায়ের সাথে সম্পর্কি ত তা হলো যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া। একটি কাবিরা গুনাহ এমন রয়েছে যা শরীরের সাথে সম্পর্কি ত - তা হলো পিতামাতার অবাধ্যতা করা। এর দ্বারা কবিরা গুনাহর সীমাবদ্ধতা বুঝায়না। বরং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে সম্পর্কি ত নির্দি ষ্ট বিশেষ কিছু গুনাহকে বুঝায়। কিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেন - কবিরা গুনাহ হলো ওই গুনাহ যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী সকল শরীয়ত একমত। যেমন: হত্যা করা, সুদ খাওয়া। আর যেটা এক শরীয়তে নিষিদ্ধ কিন্তু অপর শরীয়তে নিষিদ্ধ নয় তা হলো সগিরা গুনাহ। তবে পূর্বে কাবিরা গুনাহ এবং সগিরা গুনাহর যে তা'রিফ বর্ণনা করা হয়েছে সেটাই অগ্রাধিকার প্রাপ্ত। দুইজন ব্যক্তি কবিরা গুনাহতে লিপ্ত হওয়ার ফলে তারা কি সমান পাপী হবে? উত্তর হলো না। একেকজনের অবস্থানের কারনে তাদের পাপের মধ্যে কমবেশি হবে। যেমনঃ একজন ব্যক্তি কোন কবিরা গুনাহতে লিপ্ত হলো কিন্তু সেটার প্রতি তার অবজ্ঞা রয়েছে। তবে সে ফাসিক হবে। আর যদি এমন হয় যে কোন ব্যক্তি গুনাহকে হালাল ভেবে করে তবে সে কাফির হবে, এতে কোন সন্দেহ নাই। যেমনঃ নামাজ ছেড়ে দেওয়া কাবিরা গুনাহ। এখন কেউ যদি নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে বৈধ মনে করে তবে সে কাফির হয়ে যাবে। আবার ৩য় আরেকজন ব্যক্তি গুনাহকে গুনাহ মনে করছে, এবং নিজের দুর্বলতার কারণে গুনাহ করছে এবং তাওবাও করছে তবে সে আগের ব্যক্তির মত নয়। ইমাম বুখারি রাহি. এই গুনাহগুলোকে সহীহ বুখারীতে কুফু র বলেছেন। এর দ্বারা বুঝা যায় গুনাহ এক প্রকার কুফু র। কুফর দুই প্রকার- ১.কুফরে আকবার, ২.কুফরে আসগর। কুফরে আকবার হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর কুফরে আসগর হচ্ছে কবিরা গুনাহগুলো। অনেক হাদিসের মধ্যেও তা বর্ণনা করা হয়েছে। এর থেকে বুঝা যায় কবিরা গুনাহগুলো আল্লাহর দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়। তা হলো আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মাখলুকাতকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদাতের জন্যে। আল্লাহর তায়ালার ইবাদাত করা এবং তার পরিচয় পাওয়া হলো সবথেকে বড় দায়িত্ব, সবথেকে বড় আদল। এটাকে তাওহীদও বলে। এর বিপরীতে রয়েছে শিরক। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা। এটা সবথেকে বড় জুলম ু । তাই যে ইবাদাতগুলো তাওহীদ বিল্লাহর পরিপন্থী হবে সেটাই হলো কবিরা গুনাহ। অর্থাৎ যে কাজ শিরকে বিল্লাহর যত কাছে হবে সেটা তত বড় গুনাহ হবে। আর যে কাজ তাওহীদের সবথেকে কাছে হবে সেটাই সবথেকে বড় ইবাদাত হবে। এর দ্বারাই ইবাদাত এবং গুনাহের স্তরগুলো নির্ণয় হবে। তাই যে ব্যক্তি তাওহীদের যত কাছে হবে সে তত বড় মুমিন হবে। আর যে ব্যক্তি বিপরীত মেরুতে অবস্থান করবে সে ইসলাম থেকে তত দুরে থাকবে। উপরোক্ত আয়াতে "তোমাদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে" এই নিষেধ করার দ্বারা উদ্দেশ্য কি? কে নিষেধ করেছেন। এর দুইটি দিক হতে পারে। হয়তো আল্লাহ তায়ালা কুরআনের মধ্যে নিষেধ করেছেন নতু বা রাসুলল্ল ু াহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসের মধ্যে নিষেধ করেছেন। আবার আছে " গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন" এই আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে কবিরা গুনাহ থেকে বাচলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে। আসলেই কি বিষয়টি এমন? না। বিষয়টি এমন নয়। শুধু গুনাহ থেকে বেচে থাকাই যথেষ্ট নয় বরং ওয়াজিবাতগুলো, আমলগুলো করতে হবে। তাই ইবাদাত করা জরুরি। প্রশ্ন: গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে এবং আমল করলেই কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে? উত্তর: না। আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না৷ নেক আমল হল হলো সাবাব (উসিলা ) । তবে (সববে আসলী) মৌলিক কারণ নয়৷ জান্নাতে প্রবেশের মৌলিক কারণ হলো আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহ তায়ালার করুণা ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। তাই বান্দার উচিত হলো, আল্লাহর ইবাদাত করবে, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে এবং আল্লাহর দয়ার আশা রাখবে৷ আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রসূলল্ল ু াহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কোন ব্যক্তিকে তার নেক ‘আমাল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকজন প্রশ্ন করলঃ হে আল্লাহ্ র রসূল! আপনাকেও নয়? তিনি বললেনঃ আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা গ্রহণ কর এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ‘আমাল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তাওবাহ করার সুযোগ পাবে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৬৭৩) এর থেকে বুঝা যায় জান্নাতে প্রবেশের মূল কারণ হলো আল্লাহর অনুগ্রহ, করুণা, অনুকম্পা। এজন্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকা এবং নিজের কোন আমলের উপর অহংকার না করা উচিত। নিজের আমলের উপর অহংকার আসা শয়তানের ধোকা। মূলত আল্লাহর অনুগ্রহের উপর আশা রেখে আমল চালিয়ে যেতে হবে।