ইসলাম ৭ মাধ্যমিক PDF

Document Details

CoolTuring

Uploaded by CoolTuring

Viqarunnisa Noon School and College

2023

Tags

Bangla educational materials 7th-grade curriculum Islamic studies textbooks

Summary

This is a textbook on Islamic Studies, designed for 7th grade students, likely to be used in Bangladesh schools. The content deals with the fundamentals of Islam, and it is a preliminary version for the 2023 academic year based on the National Curriculum of 2022.

Full Transcript

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড কর্ক তৃ জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০22 অনুযায়ী প্রণীত এবং 2023 শিক্ষাবর্ ্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য নির্ ্ধধারিত পাঠ্যপুস্তক...

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড কর্ক তৃ জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০22 অনুযায়ী প্রণীত এবং 2023 শিক্ষাবর্ ্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য নির্ ্ধধারিত পাঠ্যপুস্তক (পরীক্ষামূলক সংস্করণ) wkÿvel© 2024 জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড ৬৯-৭০ মতিঝিল বাণিজ্্যযিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ কর্কতৃ প্রকাশিত [জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড, বাংলাদেশ কর্ক তৃ সর্্বস্বত্ব সংরক্ষিত] প্রথম প্রকাশ : ডিসেম্বর, 2022 পুনর্মুদ্রণ :............, 2023 শিল্প নির্্দদেশনা মঞ্জুর আহমদ প্রচ্ছদ মঞ্জুর আহমদ গ্রাফিক্স সিরাজুম মুনির মিজান মো ো. সাদ্দাম হো োসাইন মো ো: আ: হান্নান বিশ্বাস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্ক তৃ বিনামূল্যে বিতরণের জন্য wkÿvel© 2024 মুদ্রণে : প্রসঙ্গ কথা পরিবর্্তনশীল এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা। প্রযুক্তির উৎকর্্ষষের কারণে পরিবর্্তনের গতিও হয়েছে অনেক দ্রুত। দ্রুত পরিবর্্তনশীল এই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার কো োনো ো বিকল্প নেই। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ইতিহাসের যেকো োনো ো সময়ের চেয়ে এগিয়ে চলেছে অভাবনীয় গতিতে। চতুর্্থ শিল্পবিপ্লব পর্্যযায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ আমাদের কর্্মসংস্থান এবং জীবনযাপন প্রণালিতে যে পরিবর্্তন নিয়ে আসছে তার মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্পর্্ক আরও নিবিড় হবে। অদূর ভবিষ্যতে অনেক নতুন কাজের সুযো োগ তৈরি হবে যা এখনও আমরা জানি না। অনাগত সেই ভবিষ্যতের সাথে আমরা যেন নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারি তার জন্য এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়ো োজন। পৃথিবী জুড়ে অর্্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও জলবায়ু পরিবর্্তন, বায়ুদূষণ, অভিবাসন এবং জাতিগত সহিংসতার মতো ো সমস্যা আজ অনেক বেশি প্রকট। দেখা দিচ্ছে কো োভিড ১৯ এর মতো ো মহামারি যা সারা বিশ্বের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং অর্্থনীতিকে থমকে দিয়েছে। আমাদের প্রাত্্যহিক জীবনযাত্রায় সংযো োজিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চ্্যযালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা। এসব চ্্যযালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাাঁড়িয়ে তার টেকসই ও কার্্যকর সমাধান এবং আমাদের জনমিতিক সুফলকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। আর এজন্য প্রয়ো োজন জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবো োধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন দূরদর্শী, সংবেদনশীল, অভিযো োজন-সক্ষম, মানবিক, বৈশ্বিক এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বল্্পপোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্্পণের লক্ষষ্যমাত্রা অর্্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষা হচ্ছে এই লক্ষষ্য অর্্জনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এজন্য শিক্ষার আধুনিকায়ন ছাড়া উপায় নেই। আর এই আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে একটি কার্্যকর যুগো োপযো োগী শিক্ষাক্রম প্রণয়নের প্রয়ো োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্্ডডের একটি নিয়মিত, কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্্ণ কার্্যক্রম হলো ো শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্্জন। সর্্বশেষ শিক্ষাক্রম পরিমার্্জন করা হয় ২০১২ সালে। ইতো োমধ্যে অনেক সময় পার হয়ে গিয়েছে। প্রয়ো োজনীয়তা দেখা দিয়েছে শিক্ষাক্রম পরিমার্্জন ও উন্নয়নের। এই উদ্দেশ্যে শিক্ষার বর্্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং শিখন চাহিদা নিরূপণের জন্য ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালব্যাপী এনসিটিবির আওতায় বিভিন্ন গবেষণা ও কারিগরি অনুশীলন পরিচালিত হয়। এসব গবেষণা ও কারিগরি অনুশীলনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে টিকে থাকার মতো ো যো োগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অবিচ্ছিন্ন যো োগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা হয়েছে। যো োগ্যতাভিত্তিক এ শিক্ষাক্রমের আলো োকে সকল ধারার (সাধারণ ও কারিগরি) সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হলো ো। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলো োকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এমনভাবে রচনা করা হয়েছে যেন তা অনেক বেশি সহজবো োধ্য এবং আনন্দময় হয়। এর মাধ্যমে চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন প্রপঞ্চ ও ঘটনার সাথে পাঠ্যপুস্তকের একটি মেলবন্ধন তৈরি হবে। উল্লেখ্য যে, ইতো োমধ্যে অন্তর্্বর্তীকালীন ট্রাই-আউটের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করে লেখক এবং বিষয় বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে যৌ ৌক্তিক মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকটি পরিমার্্জন করা হয়েছে। আশা করা যায় পরিমার্্জজিত পাঠ্যপুস্তকটির মাধ্যমে শিখন হবে গভীর এবং জীবনব্যাপী। পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়নে ধর্্ম, বর্্ণ, সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির বানানরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকটি রচনা, সম্পাদনা, চিত্রাঙ্কন ও প্রকাশনার কাজে যাাঁরা মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরীক্ষামূলক এই সংস্করণের কো োনো ো ভুল বা অসংগতি কারো ো চো োখে পড়লে এবং এর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কো োনো ো পরামর্্শ থাকলে তা জানানো োর জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরো োধ রইল। প্রফেসর মো োঃঃ ফরহাদুল ইসলাম wkÿvel© 2024 চেয়ারম্যান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বো োর্ ্ড, বাংলাদেশ বিষয় পরিচিত প্রিয় শিক্ষার্থী, সপ্তম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকটি এখন তো োমার হাতে। আশা করি তুমি জানো ো, ইসলাম শিক্ষা তো োমার জন্য কেবল একটি পাঠ্যবিষয় নয় বরং একটি জীবন বিধান। তাই এবারের নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে তো োমাকে কেবল ইসলামের জ্ঞানদান করা হবে না। সেই সাথে ইসলামি জ্ঞান ও মূল্যবো োধের আলো োকে কীভাবে তুমি তো োমার জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারো ো সে বিষয়েও তো োমাকে যথাযথ দিকনির্্দদেশনা প্রদান করা হবে। ইসলামি আদর্্শশে জীবন গঠনে তো োমার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইসলাম শিক্ষার এই পাঠ্যপুস্তকটি। মনে রাখবে, এবারের ইসলাম শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকটি তুমি কেবল পড়বে না, সেই সাথে শিক্ষকের নির্্দদেশ অনুসারে বেশ কিছু কাজও করবে। তবে কাজগুলো ো হবে আনন্দদায়ক এবং জীবনসম্পৃক্ত। এবারে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে তো োমাকে মূল্যায়নও করা হবে তো োমার কাজের ওপর ভিত্তি করে। তুমি তো োমার কাজে এবং আচরণে যত বেশি ইসলামের মূল শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে, ততই তো োমার ফলাফল ভালো ো করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আর তুমি তো ো জানো োই, ইসলামি শিক্ষা মেনে চললে তো োমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন হবে সুন্দর ও সমৃদ্ধ। আগেই জেনেছ যে, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে পাঠের পাশাপাশি তো োমাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তো োমার শ্রেণিতে যদি এমন কো োনো ো বন্ধু থাকে যার বিশেষ ধরনের কো োনো ো সহযো োগিতা প্রয়ো োজন তাহলে তুমি তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখবে। সপ্তম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষার এই পাঠগুলো ো সম্পন্ন করতে তো োমাকে যে কাজ করতে হবে সেগুলো ো করতে হয়ত তো োমার অনেক বন্ধুরই সহায়তা প্রয়ো োজন হবে। তো োমার দায়িত্ব হলো ো তাদেরকে তো োমার সাধ্যমতো ো সহযো োগিতা করা। wkÿvel© 2024 সূচিপত্র অধ্যায় বিষয়বস্তু পৃষ্ঠা নাম্বার প্রথম অধ্যায় আকাইদ 1 আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ইমানের মর্্মমার্্থ ৩ মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান 9 আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি ইমান 11 দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদাত 14 সালাত 15 আযান 22 বিভিন্ন প্রকার সালাত 24 সাওম 40 যাকাত 48 তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা 54 আল কুরআনের পরিচয় 55 তাজবিদ 58 ওয়াকফ 61 নাযিরা তিলাওয়াত 63 সূরা আল-লাহাব 64 সূরা আন-নাসর 66 সূরা আল-কাফিরুন 69 সূরা আল-আসর 71 সূরা আত-তাকাসুর 75 মুনাজাতমূলক আয়াত 77 আল হাদিস 80 মুনাজাতমূলক ৩টি হাদিস 83 চতুর্্থ অধ্যায় আখলাক 84 আখলাকে হামিদাহ 85 আখলাকে যামিমাহ 104 পঞ্চম অধ্যায় জীবনাদর্্শ 113 মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) 113 হযরত ইসমাঈল (আ.) 117 হযরত উমর (রা.) 120 উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) 122 wkÿvel© 2024 খাজা মুঈন উদ্দীন চিশতী (রহ.) 125 ষষ্ঠ অধ্যায় সম্প্রীতি 127 ইসলাম শিক্ষা প্রিয় শিক্ষার্থী, নতুন শ্রেণির নতুন পাঠে স্বাগত! পাঠে প্রবেশের আগে একটু পাঠাগার ঘুরে আসলে কেমন হয়? দারুণ না! সপ্তম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষার প্রথম পাঠ শুরু করার আগেই তাহলে চলো ো শিক্ষকের নির্্দদেশনা অনুসারে কো োনো ো একটি পাঠাগার থেকে ঘুরে আসা যাক। ঘুরে দেখা হয়ে গেলে শিক্ষক তো োমাকে এবং তো োমার বন্ধুদেরকে কিছু কাজ করতে দিবেন। কাজগুলো ো সঠিকভাবে পালন করতে করতেই তুমি এই পাঠ্যপুস্তক অনুসারে ইসলামের জ্ঞানার্্জন করতে থাকবে। আকাইদের পরিচয় আগের শ্রেণিতে তুমি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আকাইদের ধারণা পেয়েছ। এ শ্রেণিতে আমরা এ বিষয়ে আরও একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। আকাইদ (‫ ) َعقَائِ ٌد‬শব্দটি আরবি। এটি বহুবচন, এর একবচন হলো ো আকিদা (‫– ) َع ِقيْ َد ٌة‬যার অর্্থ বিশ্বাস। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে আকাইদ বলতে ইসলামের মৌ ৌলিক বিষয়গুলো োর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনকে বো োঝায়। ইসলামি আকিদার মূলকথা হলো ো বিশ্বাস, কর্্ম, চিন্তা ও চেতনায় মহান আল্লাহকে সর্্বশক্তিমান মেনে নেওয়া এবং শিরক থেকে মুক্ত থাকা। ইসলামি আকিদাহ- আকিদাহ-এর মৌ ৌলিক বিষয়্্সমূহ একজন মুসলিমকে মৌ ৌলিক সাতটি বিষয়ে ইমান আনতে হয়-যা আমরা ‘ইমান মুফাসসাল’ নামক কালেমার মাধ্যমে স্বীকৃতি দেই। এগুলো ো হলো ো : এক - আল্লাহর প্রতি ইমান wkÿvel© 2024 দুই - মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান তিন - আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি ইমান 1 আকাইদ চার - নবি-রাসুলগণের প্রতি ইমান পাাঁচ - আখিরাতের প্রতি ইমান ছয় - তাকদির (ভাগ্য বা নিয়তি) এর ভালো ো-মন্দের প্রতি ইমান সাত - মৃত্যুর পর পুনর্জীবনের প্রতি ইমান এ ছাড়াও ইসলামি আকিদাহ-এর আরও অনেক ক্ষেত্র বা বিষয় আছে যা তো োমরা বড় হয়ে জানতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থী, ইসলামি আকিদাহ-এর এ মৌ ৌলিক সাতটি বিষয়ের মধ্যে এ শ্রেণিতে আমরা আল্লাহর প্রতি ইমান, মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান এবং আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি ইমান– এই তিনটি বিষয় নিয়ে একটু বিশদ আলো োচনা করব। তাহলে শুরু করা যাক। প্রিয় শিক্ষার্থী, পূর্্ববের শ্রেণিতে তুমি আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় ও তাাঁর গুণাবলি সম্পর্্ককে সামান্য ধারণা লাভ করেছ। এ শ্রেণিতে আমরা এ সম্পর্্ককে আরও কিছু জানব। মূলত আল্লাহ তা‘আলার পরিচয়, তাাঁর গুণাবলি এত ব্যাপক যে, তার যথার্্থ বর্্ণনা তুলে ধরার ভাষা ও সামর্থথ্য মানুষের নেই। মহান আল্লাহ বলেন : অর্্থ: ‘বলুন, আমার পালনকর্্ততার কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্্ততার কথা শেষ হওয়ার আগেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমি এর সাহায্যার্্থথে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও।’ (সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ১০৯) আল্লাহর পরিচয় তাাঁর অসংখ্য সৃষ্টি এবং তাাঁর দেওয়া অগণিত নিয়ামতের মাঝেই নিহিত। তাই আমরা তাাঁর সৃষ্টিরাজি ও নিয়ামত নিয়ে যত বেশি গভীর চিন্তা-ভাবনা ও জ্ঞান অর্্জন করব তত বেশি তাাঁর পরিচয় ও গুণাবলি সম্পর্্ককে জানতে পারব। আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় আল্লাহ জগতসমূহের সৃষ্টিকর্্ততা ও প্রতিপালকের সত্তাবাচক নাম। সর্বোচ্চ সম্মান, প্রশংসা ও ইবাদাত পাওয়ার যিনি একমাত্র অধিকারী, তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ। আল্লাহ নামের কো োনো ো প্রতিশব্দ, অনুবাদ, সমার্্থক শব্দ কিংবা প্রতিনিধিত্বমূলক কো োনো ো শব্দ বা নাম নেই। ব্যাকরণে আল্লাহ শব্দটি বিশেষ্যপদ। এর কো োনো ো বচন পরিবর্্তন নেই, লিঙ্গান্তর নেই। কো োনো ো ভাষায় এর অনুবাদ করাও সম্ভব নয়। পৃথিবীর সকল ভাষাতে এ শব্দটি অভিন্নরূপে ব্যবহৃত। আল্লাহ শব্দটি কো োনো ো ধাতু থেকে উদ্ভূত নয়। আল্লাহ সর্্বদা একবচন, একক, অবিভাজ্্য, অদ্বিতীয় এবং wkÿvel© 2024 অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দ দ্বারা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে বো োঝায়। আরবি ভাষায় আল্লাহ নামকে ‘ইসমে জাত’ বলা হয়। তবে তাাঁর অনেক সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নাম আছে। আমরা সে সকল নাম ধরেও তাাঁকে ডাকতে পারি। 2 ইসলাম শিক্ষা মহান আল্লাহ একক সত্তা। তাাঁর কো োনো ো শরিক নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। তিনি সকল কিছুর উপর সর্্বশক্তিমান। তিনি অসীম জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী। তাাঁর সদৃশ কিছুই নেই। তাাঁর তুলনা স্বয়ং তিনি নিজেই। আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহর পরিচয়, গুণাবলি ও তাাঁর ক্ষমতার বিবরণ বিদ্যমান। সূরা আল-ইখলাসে অতি সংক্ষিপ্তভাবে তাাঁর পরিচয় এসেছে এভাবে – অর্্থ: ‘বলুন, তিনিই আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১-৪) আল্লাহ ঐ মহান সত্তার নাম, যিনি এ মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্্ততা ও নিয়ন্ত্রণকারী। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানে যা কিছু আছে, তিনিই তার মালিক। তিনি সকল জীবের সৃষ্টিকর্্ততা ও প্রতিপালক। তিনিই একমাত্র ইলাহ বা উপাস্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমিই আল্লাহ। আমি ব্যতীত কো োনো ো ইলাহ নেই। অতএব, তুমি আমার ইবাদাত করো ো এবং আমার স্মরণে সালাত কায়েম করো ো।’ (সূরা ত্বা হা, আয়াত: ১৪) আল্লাহ এমন এক সত্তা, যিনি সকল দো োষত্রুটি থেকে মুক্ত এবং সকল সৌ ৌন্দর্্য ও পরিপূর্্ণতার আধার। তিনি সর্্বশ্্ররোতা, সর্্বদর্শী। তিনিই রিযিকদাতা। তিনিই হেদায়াতকারী, বিধানদাতা ও নির্্দদেশদাতা। সব শক্তি, মাহাত্মম্য ও সর্্বময় কর্ত্ব তৃ তাাঁরই। তিনি সকল শক্তির উৎস ও ক্ষমতার অধিকারী। তিনি অপরিসীম রহমতের অধিকারী। তিনিই হাকিম বা মহাবিজ্ঞানী। তিনি পরাক্রমশালী, নিরাপত্তা ও শান্তিদাতা। তিনিই অতীব সূক্ষ্মদর্শী, পরম ধৈর্্যশীল ও মহান। এ বিশ্বে যা কিছু আছে সবই একদিন বিলীন হয়ে যাবে কিন্তু তাাঁর সত্তা অক্ষয় ও অবিনশ্বর। তিনি অনন্ত ও অসীম। তিনিই ইবাদাত পাওয়ার একমাত্র যো োগ্য। আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ইমানের মর্্মমার্্থ ইমানের সর্্বপ্রথম ও সর্্বপ্রধান বিষয় হলো ো, আল্লাহর ওপর ইমান বা বিশ্বাস। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ছিলেন, তিনি আছেন ও তিনি থাকবেন। তিনি আমাদের রব, মালিক ও সৃষ্টিকর্্ততা। তাাঁর ইচ্ছা ছাড়া কো োনো ো কিছুই ঘটে না। তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী। তিনি ছাড়া কো োনো ো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, তিনি অনন্ত। তিনি পরম সুন্দর ও পরম পবিত্র। তাাঁকে ক্লান্তি, তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্্শ করতে পারে না। তিনি কো োনো ো কিছুর ওপর নির্্ভরশীল নন। সবকিছুই তাাঁর ওপর নির্্ভরশীল। কো োনো ো কিছুই তাাঁর মতো ো নয়। এ পৃথিবীতে চর্্ম চো োখে তাাঁকে দেখা সম্ভব নয়। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুই তাাঁর। প্রকাশ্য ও গো োপন সবকিছুই তিনি জানেন। তাাঁর জ্ঞানের বাইরে কো োনো ো কিছুই নেই। তিনি যাকে যতটুকু ইচ্ছে জ্ঞান দান করেন। তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাাঁরই। তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্্যন্ত wkÿvel© 2024 সকল বিষয় পরিচালনা করেন। তাাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে। সকল কিছুই তাাঁর 3 আকাইদ নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনিই জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। আর তাাঁরই কাছে সকলকে ফিরে যেতে হবে। তিনি সর্্বশক্তিমান। যখন তিনি কো োনো ো কিছু করার ইচ্ছা করেন, তখন শুধু বলেন, ‘কুন’ (হও) আর অমনি তা হয়ে যায়। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। তিনি আকাশমণ্ডলীর রব, পৃথিবীর রব ও সকল সৃষ্টির রব। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সকল শ্রেষ্ঠত্ব, গৌ ৌরব ও মহিমা তাাঁরই জন্য। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়, সর্বোচ্চ ও সুমহান। আল্লাহর ওপর ইমান আনার অর্্থ হলো ো, তাাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কো োনো ো সন্দেহ সংশয় ছাড়া এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব), তিনি একমাত্র ইলাহ। তাাঁর অনেক সুন্দর নাম ও সিফাত বা গুণ রয়েছে। আল্লাহর ওপর ইমান আনার গুরুত্বপূর্্ণ কতিপয় বিষয় হলো ো: আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি ইমান আনা ইসলামি শরিয়তের অসংখ্য দলিল আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে। মানুষের বিবেকবুদ্ধিও দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে। প্রতিটি সৃষ্টিই স্বপ্রণো োদিতভাবে তার স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসী। কো োনো ো সৃষ্টিই নিজে নিজেকে অস্তিত্ব দান করতে পারে না। আপনাআপনি কো োনো ো কিছু হয়ে যাওয়া অবাস্তব। অবশ্যই একজন অস্তিত্বদানকারী আছেন। আর তিনি হলেন আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন- অর্্থ: ‘তারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?’ (সূরা আত-তূর, আয়াত: ৩৫) আল্লাহর কর্তৃত্বে বিশ্বাস স্থাপন এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ তা‘আলাই একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এ মহাবিশ্ব পরিচালনায় তাাঁর কো োনো ো অংশীদার নেই। রব বলা হয় তাাঁকেই যিনি সৃষ্টি করেন, পরিচালনা করেন এবং মালিকানা যাাঁর জন্য। আল্লাহ ছাড়া আর কো োনো ো স্রষ্টা নেই। আল্লাহ ছাড়া আর কো োনো ো মালিক নেই। তিনি ছাড়া আর কো োনো ো বিশ্ব পরিচালকও নেই। তিনিই আল্লাহ, যিনি আসমান ও জমিন হতে বান্দার জন্য রিজিক প্রদান করেন। অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই। আল্লাহ ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না; কেবল যাকে যতটুকু জ্ঞান দেওয়া হয়, সে ততটুকুই জানে। আল্লাহই একমাত্র উপাস্য- উপাস্য- এ কথায় বিশ্বাস স্থাপন মনে-প্রাণে এ কথা বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহই একমাত্র সত্্য উপাস্য। তিনি ছাড়া অন্য কেউ ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত নয়। উপাসনা প্রাপ্তিতে কেউ তাাঁর অংশীদার নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ সাক্ষষ্য wkÿvel© 2024 দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া অন্য কো োনো ো ইলাহ নেই, ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও; (একই সাক্ষষ্য দেন) 4 ইসলাম শিক্ষা তিনি ন্যায় ও ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ব্যতীত অন্য কো োনো ো ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮) সকল নবি-রাসুলের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল একটিই : ‘আল্লাহ ছাড়া কো োনো ো সত্্য উপাস্য নেই, তিনি ব্যতীত কেউ উপাসনার যো োগ্য নয়।’ আল্লাহর সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন আল্লাহ তা‘আলার ওপর ইমানের আরও দাবি হচ্ছে, আল্লাহ রাব্ বুল আলামিন তাাঁর নিজের জন্য তাাঁর কিতাবে বা তাাঁর রাসুলের সুন্নাহ্’য় যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন, সেগুলো োকে নিঃসংকো োচে মেনে নেওয়া। তাই আমরা আল্লাহর জন্য কেবলমাত্র সেই সব নাম ও সিফাত বা গুণ সাব্যস্ত করব, যা তিনি এবং তাাঁর রাসুল (সা.) সাব্যস্ত করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহর যে সমস্ত সিফাত বা গুণ বর্্ণণিত হয়েছে, আমরা তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আল-আসমাউল হুসনা আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় বর্্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি সকল গুণের আধার। এমন কো োনো ো উত্তম গুণ নেই যা তাাঁর মাঝে নেই। তিনি যেমন অসীম তেমনি তাাঁর গুণাবলিও অসীম। তাাঁর প্রতিটি গুণের মহিমাজ্ঞাপক পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। এগুলো ো তাাঁর গুণবাচক নাম। আল কুরআনে এগুলো োকে ‘আল-আসমাউল হুসনা’ বা সুন্দরতম নামসমূহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন : অর্্থ: ‘আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। কাজেই তো োমরা তাাঁকে সে নাম ধরেই ডাকো ো।’ (সূরা আল- আ‘রাফ, আয়াত: ১৮০) আমরা আল্লাহর নামের মহিমা, পবিত্রতা ও প্রশংসাজ্ঞাপক নিরানব্বইটি আসমাউল হুসনা বা গুণবাচক নামের কথা জানি। আসলে আল্লাহর গুণবাচক নামের কো োনো ো শেষ নেই। তবে তাাঁর এ নিরানব্বইটি নাম বেশি প্রসিদ্ধ। আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে তাাঁর এসব পবিত্র নামের উল্লেখ রয়েছে। এসব নাম থেকে আমরা তাাঁর পরিচয় ও গুণাবলি সম্পর্্ককে জানতে পারি। আগের শ্রেণিতে আমরা আল্লাহর কয়েকটি গুণবাচক নামের পরিচয় জেনেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এ শ্রেণিতে আমরা তাাঁর আরও কয়েকটি গুণবাচক নাম সম্পর্্ককে কিছুটা বিস্তারিত জানব। তাহলে শুরু করা যাক। আল্লাহু খালিকুন খালিকুন অর্্থ সৃষ্টিকর্্ততা। আল্লাহ সমস্ত মাখলুকের সৃষ্টিকর্্ততা। এ জন্য তিনি আল খালিক নাম ধারণ করেন। এ wkÿvel© 2024 নামটি খালকুন (‫)خ ْل ٌق‬ َ ধাতু হতে উদ্ভূত, যার অর্্থ উৎপাদন করা, তৈরি করা, সৃষ্টি করা। খালিক তিনি, যিনি 5 আকাইদ কো োনো ো পূর্্ব নমুনা ব্যতিরেকে যখন ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন। এ অর্্থথেই আল্লাহ খালিক। আল্লাহর গুণাবলির মধ্যে সৃষ্টিগুণ থাকা এক বিশেষ রহস্য। তিনিই অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব দেন বা সৃষ্টি করেন। এ ক্ষমতা একমাত্র তাাঁরই। আমরা আমাদের চারিদিকে তাকালে যেসব সৃষ্টি দেখতে পাই এগুলো ো তাাঁর খালিক নামের মহিমার ফসল। আল্লাহর সকল সৃষ্টি অতিসুন্দর ও সুনিপুণ। তাাঁর সৃষ্টিতে কো োনো ো খুতুঁ বা ত্রুটি নেই। তাাঁর সৃষ্টজীবের মধ্যে মানুষকে তিনি সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তাাঁর সৃষ্টি সম্পর্্ককে বলেন: অর্্থ: ‘যিনি তাাঁর প্রত্্যযেকটি সৃষ্টিকে সুন্দরভাবে সৃজন করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।’ (সূরা আস-সাজদাহ, আয়াত: ৭) জীবের সৃষ্টি উপাদান ও মহান আল্লাহর সৃষ্টির সক্ষমতা প্রসঙ্গে আল-কুরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ প্রত্্যযেক জীবকে পানি হতে সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক পেটে ভর দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সূরা আন-নূর, আয়াত: ৪৫) আমরা মহান আল্লাহর খালিক নামের এসব তাৎপর্্য উপলব্ধি করে তাাঁকে এ নামে ডাকব এবং বিশ্বাস রাখব যে, কেবল আল্লাহই খালিক। তিনি যখন যা ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন। জীবনের ন্যায় মৃত্যুরও স্রষ্টা তিনিই। আল্লাহু মালিকুন মহান আল্লাহর আরেকটি সুন্দর নাম আল-মালিক। মালিক অর্্থ অধিপতি, স্বত্বাধিকারী, সর্্ববাধিকারী, রাজাধিরাজ, বাদশাহ ইত্্যযাদি। এটি আল্লাহর এমন একটি গুণবাচক নাম যার মাঝে আসমাউল হুসনার অন্য অনেক নামের মাহাত্মম্য বিদ্যমান। এই যে বিশাল পৃথিবী, যেখানে আছে নদীনালা, সাগর, মহাসাগর, পাহাড়-পর্্বত। আরও আছে জানা-অজানা ছো োট-বড় অসংখ্য জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছগাছালি, ফুল, ফল, ফসল এবং আরও কত কী। আমাদের মাথার ওপর অনন্ত আকাশে আছে চন্দ্র, সূর্্য, অগণিত গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্র। আকারে এ নক্ষত্রগুলো ো আবার পৃথিবীর চেয়ে লক্ষ লক্ষ গুণ বড়। আরও আছে আমাদের অজানা কত রহস্যময় জগৎ। এ সৃষ্টি জগতসমূহের সৃষ্টিকর্্ততা, পরিচালক ও একচ্ছত্র মালিক একমাত্র আল্লাহ। সব কিছু তাাঁর নির্্দদেশে পরিচালিত হয়। মহান আল্লাহ বলেন : wkÿvel© 2024 6 ইসলাম শিক্ষা অর্্থ: ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল এবং এতো োদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর ওপর আল্লাহর আধিপত্্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। অার আল্লাহ সবকিছুর ওপর সর্্বশক্তিমান।’ (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ১৭) তিনিই আদেশদাতা ও নিষেধকারী। তিনিই আমাদের এবং সকল জীবের জীবনের মালিক। তিনিই মৃত্যু, কিয়ামত, আখিরাত, বিচার দিবস, জান্নাত ও জাহান্নামের মালিক। সব কিছু তাাঁর কাছেই আত্মসমর্্পণ করে। এককথায়, তিনিই সব কিছুর মালিক। আল্লাহু মালিকুন-এ কথার তাৎপর্্য উপলব্ধি করে আমরা আল্লাহকে এ নামে ডাকব। তাহলে আল্লাহর ওপর আমাদের ইমান আরও দৃঢ় হবে। সকল সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক যেহেতু মহান আল্লাহ, তাই দুনিয়াতে আমরা এসব নিয়ে কখনই গর্্ব করব না বরং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। আল্লাহু গাফুরুন গাফুরুন শব্দের অর্্থ হলো ো ক্ষমাশীল, অত্্যন্ত ক্ষমাকারী, পরম ক্ষমাশীল ইত্্যযাদি। তাই ‘আল্লাহু গাফুরুন’ কথাটির অর্্থ হলো ো, আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। আল-গাফুর আল্লাহ তা‘আলার একটি গুণবাচক নাম। এ নামের বরকতে তিনি পাপীর পাপ মো োচন করে দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: অর্্থ: ‘যিনি পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী এবং কঠো োর শাস্তিদাতা ও শক্তিশালী।’ (সূরা মু’মিন, আয়াত: ৩) নিঃসন্দেহে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল। সব কিছুর মালিক হিসেবে তিনি আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করারও মালিক। তিনি ছাড়া আমাদের গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই। পাপীর ক্ষমা চাওয়ার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাদের পাপসমূহ এমনভাবে ক্ষমা করে দেন যে, তা আমলনামা থেকে মুছে যায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তো োমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ো অত্্যন্ত ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।’ (সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩) মহান আল্লাহ এমন মহাক্ষমাশীল যে, বান্দার পাপরাশি যত বেশিই হো োক না কেন বা তা যত বড়ই হো োক না কেন, তাাঁর ক্ষমার সামনে তা অতি সামান্যই। মানুষ যদি ভুলবশত কো োনো ো অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা পাপ করে নিজেদের প্রতি যুলুম করে বসে, তবে যদি সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্্থনা wkÿvel© 2024 করে, তাহলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন। এ মর্্মমে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক দয়া করাকে তার নিজের কর্্তব্য বলে লিখে নিয়েছেন। তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞতাবশত যদি কোনো ো মন্দ কাজ 7 আকাইদ করে, অতঃপর তওবা করে এবং সৎ হয়ে যায়, তবে তিনি অত্্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা আল- আন‘আম, আয়াত: ৫৪) আমরা আল্লাহর আল-গাফুর নামের ওয়াছিলা দিয়ে তাাঁর কাছে ক্ষমা চাইব। ক্ষমা প্রার্্থনাকারী ও তাওবাকারীদের আল্লাহ ভালো োবাসেন। আমাদের প্রিয়নবি (সা.)- যাাঁর কো োনো ো গুনাহ ছিল না, তদুপরি তিনি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতেন। আল্লাহু খাবিরুন খাবিরুন অর্্থ সর্্বজ্ঞাত, সর্্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত ইত্্যযাদি। আল্লাহু খাবিরুন অর্্থ আল্লাহ সম্যক অবহিত বা সর্্বজ্ঞাত। আল-খাবির মহান আল্লাহ তা‘আলার একটি গুণবাচক নাম। এ নামটি আল-আলীম, আস-সামী‘উ, আল-বাসীর, আল-কাদীর ইত্্যযাদি নামের সঙ্গে সম্পর্্কযুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন: অর্্থ: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।’ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১৩) মহান আল্লাহ সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। তিনি সবকিছু জানেন। তাাঁর জ্ঞানে সব কিছু বেষ্টন করে রাখা। তাাঁর জ্ঞান থেকে কো োনো ো স্থান, কাল-কো োনো ো কিছুই বাদ পড়ে না। আসমান জমিন এবং এতো োদুভয়ের মাঝে যেখানে যা কিছুই ঘটে না কেন, কিছুই তাাঁর অজ্ঞাতে ঘটে না। তাাঁর জ্ঞান সর্্বব্যাপী। এমনকি সরিষার কণা পরিমাণও যদি কো োনো ো বস্তু পাথরের ভেতর বা আকাশে কিংবা ভূগর্্ভভে থাকে, তবে তিনি তারও খবর রাখেন। তিনি সবকিছু দেখেন ও শো োনেন। দৃশ্য ও অদৃশ্য, প্রকাশ্য ও গো োপনীয়, স্পষ্ট ও অষ্পষ্ট সব কিছুই জানেন। ছো োট-বড় কো োনো ো কিছুই তাাঁর দৃষ্টির বাইরে থাকে না এবং তিনি কো োনো ো কিছুই ভুলে যান না। সব কিছু সম্পর্্ককে তিনি অবগত আছেন। আমরা সব সময় মনে রাখব যে, আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ভালো ো-মন্দ সকল কাজকর্্ম সম্পর্্ককে সম্যক অবগত। তাই আল্লাহকে ভয় করে আমরা সকল প্রকার অন্যায় ও পাপকাজ থেকে নিজেদের বাাঁচিয়ে রাখব এবং ভালো ো কাজসমূহ করব। সর্বোপরি, আল্লাহ তা‘আলা যেমন মহান, তাাঁর নামগুলো োও তেমনি মহান, অতি পবিত্র ও গৌ ৌরবান্বিত। আমরা তাাঁকে আল্লাহ, রহমান কিংবা তাাঁর অন্যান্য গুণবাচক নামেও ডাকব। আল্লাহু মুহাইমিনুন wkÿvel© 2024 মুহাইমিনুন অর্্থ রক্ষক, রক্ষণাবেক্ষণকারী, হেফাজতকারী। এ সৃষ্টিকুলের একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা এবং 8 ইসলাম শিক্ষা তিনিই আমাদের রক্ষক। তিনি আমাদের জাগতিক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাাঁরই দেওয়া নিয়ামতের ফলে আমরা শান্তিপূর্্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারি। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: অর্্থ: ‘তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কো োনো ো ইলাহ্ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি ও নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তারা যাকে শরিক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র।’ (সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২৩) বাড়ির কাজ: আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের একটি সুন্দর চার্্ট প্রণয়ন করবে। মালাইকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান মালাইকা বা ফেরেশতাগণের পরিচয় ‘মালাইকা’ ) শব্দটি আরবি। এটি বহুবচন। এর একবচন মালাক )। বাংলা ভাষায় এর অর্্থ হিসেবে ফেরেশতা কথাটি ব্যবহৃত হয়; এটি মূলত ফারসি ভাষার শব্দ। ফেরেশতাগণ আল্লাহর আজ্ঞাবহ জ্যোতির্্ময় সত্তা। তাাঁরা আল্লাহর বার্্ততাবাহক। তাাঁরা আল্লাহ তা‘আলার অন্যতম এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। তাাঁরা নিষ্পাপ ও পূত- পবিত্র। তাাঁরা সর্্বদা আল্লাহর তাসবিহ ও ইবাদাতে মগ্ন থাকেন। তাাঁরা আমাদের প্রিয়নবি (সা.)-এর প্রতিও দরুদ ও সালাম পাঠ করতে থাকেন। তাাঁরা মহান আল্লাহর মহাসাম্রাজ্্যযের কর্মীবাহিনী। তাাঁরা নূরের তৈরি। তাাঁদের মধ্যে স্ত্রী-পুরুষ ভেদ নেই। তাাঁদের পানাহার, নিদ্রা ও বিশ্রামের প্রয়ো োজন হয় না। তাাঁদের সংখ্যা অগণিত। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ তাাঁদের প্রকৃত সংখ্যা জানেন না। তাাঁদের কো োনো ো নিজস্ব মত ও কর্্মসূচি নেই। মানব চো োখের অন্তরালে তাাঁরা অবস্থান করেন। তাাঁরা সর্্বদা আল্লাহর আদেশ পালনে নিয়ো োজিত আছেন। আল্লাহর আদেশের বাইরে তাাঁরা কিছুই করতে পারেন না। মহান আল্লাহ যাকে যে কাজে নিয়ো োজিত করেন, তিনি সে কাজেই নিয়ো োজিত থাকেন। কাজের ক্ষেত্রে তাাঁরা ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ যা আদেশ করেন তারা তা অমান্য করে না এবং তাদের যা করতে আদেশ করা হয় তাই করে।’ (সূরা আত- তাহরিম, আয়াত: ৬) ফেরেশতাগণের গঠন ও আকৃতি wkÿvel© 2024 আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাগণকে বিশেষ আকৃতিতে নূরের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ তা‘আলা যখন যে রূপ ধারণ করতে বলেন তাাঁরা তখন সেই রূপই ধারণ করেন। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 9 আকাইদ ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও যমিনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্্ততাবাহক। তারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখাবিশিষ্ট।’ (সূরা আল-ফাতির, আয়াত: ১) প্রধান চার ফেরেশতা ফেরেশতাগণের মধ্যে চারজন প্রধান ফেরেশতা আছেন। তাাঁরা মহান আল্লাহর আদেশে বিশেষ বিশেষ কাজে নিয়ো োজিত আছেন। ফেরেশতা চারজন হলেন: ১. জিবরাইল (আ.): তাাঁকে ফেরেশতাগণের সরদার বলা হয়। তাাঁর প্রধান দায়িত্ব হলো ো আল্লাহ তা‘আলার বাণীসমূহ নবি-রাসুলগণের নিকট পৌ ৌঁঁছে দেওয়া। তিনিই পবিত্র বাণী নিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহানবি (সা.)-এর কাছে আসতেন। এ ছাড়া তিনি অন্যান্য কর্্তব্যরত ফেরেশতার নিকট বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর দেওয়া নির্্দদেশ পৌ ৌঁঁছিয়ে দেন। ২. মিকাইল (আ.): তাাঁর দায়িত্ব হচ্ছে বৃষ্টি বর্ ্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন ও সকল জীবের জীবিকা বণ্টন। ৩. ইসরাফিল (আ.): তাাঁর দায়িত্ব মহান আল্লাহর নির্্দদেশক্রমে কিয়ামতের দিন শিঙ্গায় ফুৎুঁ কার দেওয়া। ইসরাফিল (আ.)-এর শিঙ্গায় ফুৎুঁ কার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিয়ামত সংঘটিত হবে। ৪. আজরাইল (আ.): যিনি মালাকুল মওত নামেও পরিচিত। মহান আল্লাহর আদেশে প্রাণিকুলের জান কবজের কাজে তিনি নিয়ো োজিত। এ ছাড়াও কিছু ফেরেশতা মানুষের আমলনামা সংরক্ষণ করেন। তাাঁদের বলা হয় কিরামুন কাতিবিন। কিছু ফেরেশতা মানুষকে জাগ্রত অবস্থায়, নিদ্রায়, সফরে, বাড়িতে সর্্বত্র সব সময় হেফাজত করেন। তাাঁদের বলা হয় ‘মুয়াক্কিবাত’। কিছু আছেন জান্নাত-জাহান্নামের পাহারায়। উল্লেখ্য যে, জান্নাতের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতার নাম ‘রেদওয়ান’ এবং জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণকারী ফেরেশতার নাম ‘মালেক’। কতিপয় ফেরেশতা নিয়ো োজিত আছেন আল্লাহর আরশ বহনের দায়িত্বে। একদল ফেরেশতা আছেন যাাঁরা আল্লাহর জিকিরের মজলিসে মজলিসে ঘুরে বেড়ান। কিছু ফেরেশতা পাহাড়ের হেফাজতে আছেন। কিছু ফেরেশতা আল্লাহর সম্মানে সারাক্ষণ সারিবদ্ধভাবে দাাঁড়িয়ে থাকেন। এভাবে আরও অসংখ্য অগণিত ফেরেশতা আল্লাহর হুকুমে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালনে নিয়ো োজিত আছেন। ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান মহান আল্লাহ ফেরেশতাগণের মাধ্যমে তাাঁর জগতসমূহ পরিচালনা করেন। তাদেরকে যা আদেশ করেন তারা তা-ই পালন করেন। মানুষের মধ্যে বাধ্যতা ও অবাধ্যতা দুটি প্রবৃত্তিই রয়েছে। কিন্তু ফেরেশতাগণের মধ্যে অবাধ্যতার প্রবৃত্তি নেই। তাাঁদেরকে সৃষ্টিগতভাবেই আল্লাহর অনুগত করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি ফেরেশতাগণের ওপর বিশ্বাস রাখা ইমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ যদি ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান না রাখে wkÿvel© 2024 তাহলে সে ইমানদার থাকে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন- 10 ইসলাম শিক্ষা অর্্থ: ‘যে আল্লাহ, তাাঁর ফেরেশতাগণ, তাাঁর কিতাবসমূহ এবং তাাঁর রাসুলগণের ওপর বিশ্বাস রাখবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহুদূরে গিয়ে পড়বে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৩৬) ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান আনা ফরয বা অত্্যযাবশ্যক। তাই আমরা মহান আল্লাহর ফেরেশতাগণের প্রতি ইমান আনব এবং তাাঁদের প্রতি যথাযথ ভালো োবাসা পো োষণ করব। আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি ইমান আল্লাহর কিতাব যুগে যুগে আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির পথ প্রদর্্শনের উদ্দেশ্যে নবি-রাসুলগণের ওপর অনেক কিতাব নাযিল করেছেন। নবি-রাসুলগণ আল্লাহ তা‘আলার নিকট থেকে যেসব কিতাব বা গ্রন্থ লাভ করেছেন সেসব ধর্্মগ্রন্থই আল্লাহর কিতাব। এগুলো োকে আসমানি কিতাবও বলা হয়। মহান আল্লাহ হযরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে তাাঁর বাণীসমূহ নবি-রাসুলগণের নিকট প্রেরণ করেছেন। অতঃপর নবি-রাসুলগণ তা সকল মানুষের নিকট পৌ ৌঁঁছে দিয়েছেন। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সর্্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্্যন্ত নাজিলকৃত সব আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের অঙ্গ। কিতাবসমূহের প্রতি ইমান আনার অর্্থ ও তাৎপর্্য মানব জাতির জন্য হেদায়াত ও আলো োকবর্্ততিকা হিসেবে সত্্য ধর্্ম নিয়ে সকল আসমানি কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্্ণ হয়েছে। এগুলো ো আল্লাহর কালাম বা বাণী। এ বাণীসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত জিবরাইল (আ.)- এর মাধ্যমে রাসুলগণের নিকট নাযিল হয়েছে। কিতাবসমূহের প্রতি ইমান আনার অর্্থ হলো ো– যুগে যুগে বিভিন্ন জাতির হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যে কিতাবসমূহ নাযিল হয়েছে সেগুলো োকে সত্্য বলে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করা। আমরা জেনেছি, নবি ও রাসুলগণের মধ্য থেকে রাসুলগণ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কিতাব পেয়েছেন। কিন্তু কিতাবপ্রাপ্ত সকল রাসুলের নাম এবং তাাঁদের কিতাব সম্পর্্ককে বর্্ণনা কুরআন-হাদিসে উল্লেখ নেই। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.) কে উদ্দেশ্য করে বলেন-‘আমি আপনার পূর্্ববে অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে wkÿvel© 2024 বিবৃত করিনি।’ (সূরা গাফির, আয়াত: ৭৮) 11 আকাইদ তাই আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে যেগুলো োর নাম আমরা জানি, সেগুলো োর প্রতি যেমন ইমান আনতে হবে তেমনি নাম না জানা আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতিও ইমান আনতে হবে। এক কথায়, সকল আসমানি কিতাবের ওপর ইমান আনা প্রত্্যযেক মুসলমানের জন্য ফরয বা অবশ্য কর্্তব্য। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মু’মিনগণ! তো োমরা ইমান আনো ো আল্লাহর প্রতি এবং তাাঁর রাসুলের প্রতি আর সেই কিতাবের প্রতি যা তিনি নাযিল করেছেন তাাঁর রাসুলের ওপর এবং ঐ সকল কিতাবের প্রতিও যা তিনি নাযিল করেছেন তার পূর্্ববে। আর যে কুফরি করবে আল্লাহর প্রতি, তাাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাাঁর রাসুলগণের প্রতি এবং পরকালের প্রতি, সে তো ো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে।’ (সূরা আন নিসা, আয়াত: ১৩৬) আমরা শেষ নবি ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর উম্মাত। তাাঁর উপর অবতীর্্ণ কিতাবের নাম আল-কুরআন। আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি আমাদের ইমান যথার্্থ হওয়ার জন্য আমাদেরকে পূর্্ববের সকল নবি-রাসুলের ওপর অবতীর্্ণ কিতাবসমূহকে সত্্য বলে স্বীকার ও বিশ্বাস করতে হবে; আর আল কুরআনকে সত্্য বলে মুখে স্বীকার ও অন্তরে বিশ্বাস করে এ কুরআনে বর্্ণণিত সকল বিধি-বিধান মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আল-কুরআন অবতীর্্ণ হওয়ার মাধ্যমে পূর্্ববের সকল আসমানি কিতাব এবং তার বিধান রহিত হয়েছে। তাই পূর্্ববর্তী আসমানি কিতাবসমূহে কেবল বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে কিন্তু সেসব কিতাবের বিধি- বিধানসমূহ আমাদের পালন বা বাস্তবায়ন করতে হবে না। কিয়ামত পর্্যন্ত সকলের জন্য কেবল আল- কুরআন অনুসরণ ফরয। আরও উল্লেখ্য যে, পূর্্ববের সকল কিতাব সত্্য কিন্তু যুগে যুগে এগুলো োতে মারাত্মক বিকৃতি ঘটেছে। আল কুরআন যাবতীয় বিকৃতি থেকে মুক্ত ও সুরক্ষিত। কারণ এর সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা নিজে নিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: অর্্থ: ‘আমিই কুরআন অবতীর্্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই এর সংরক্ষক।’ (সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯) কিতাবসমূহের পরিচিতি আল-কুরআনে কেবল ৪ খানা প্রধান কিতাব এবং ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম ও প্রসঙ্গ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া আল-কুরআনে হযরত ইবরাহীম ও হযরত মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি কতিপয় ‘সহিফা’ (পুস্তিকা বা ছো োট কিতাব) নাযিলের এবং যুগে যুগে অন্য রাসুলগণের (আ.) ওপর আরও অনেক সহিফা নাযিলের কথা উল্লেখ আছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটি রয়েছে পূর্্ববর্তী সহিফাসমূহে; ইবরাহিম ও মুসার সহিফাসমূহে।’ (সূরা আল-আ‘লা, আয়াত: ১৮-১৯) কিন্তু এগুলো োর নাম ও সংখ্যা আল wkÿvel© 2024 কুরআনে বর্্ণণিত হয়নি। একমতে, এ সহিফাসমূহের সংখ্যা মো োট ১০০ খানা। সে অনুসারে প্রধান চার কিতাব ও সহিফাসমূহ মিলিয়ে মো োট আসমানি কিতাবের সংখ্যা ১০৪ খানা। প্রধান চারখানা কিতাব হলো ো– 12 ইসলাম শিক্ষা ১. তাওরাত তাওরাত হযরত মূসা আলাইহিস সালামের ওপর নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি মুসাকে কিতাব (তাওরাত) দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।’ (সূরা আল মু’মিনূন, আয়াত: ৪৯) ২. যাবুর যাবুর হযরত দাউদ আলাইহিস সালামের ওপর নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর আমি দাউদকে দিয়েছি যাবুর।’ (সূরা আল ইসরা, আয়াত: ৫৫) ৩. ইঞ্জিল ইঞ্জিল হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ওপর নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি তাদের পশ্চাতে ইসা ইবনে মরিয়মকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্্ববর্তী গ্রন্থ তাওরাতের সত্্যযায়নকারী ছিলেন। আমি তাাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়েত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্্ববর্তী গ্রন্থ তাওরাতের সত্্যযায়ন করে পথ প্রদর্্শন করে এবং এটি আল্লাহভীরুদের জন্যে হেদায়েত ও উপদেশ বাণী।’ (সূরা আল মায়িদা, আয়াত: ৪৬) ৪. আল-কুরআন আল-কুরআন শেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছে। আল- কুরআনের আরেক নাম ফুরকান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তিনি সত্্যসহ আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) অবতীর্্ণ করেছেন, যা তার পূর্্ববের কিতাবের সমর্্থক। আর তিনি অবতীর্্ণ করেছিলেন তাওরাত ও ইঞ্জিল- ইতো োপূর্্ববে মানবজাতির সৎ পথ প্রদর্্শনের জন্য; আর তিনি ফুরকান অবতীর্্ণ করেছেন।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩-৪) আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস করা ইমানের মৌ ৌলিক সাতটি বিষয়ের মধ্যে একটি। আমরা জানা-অজানা সকল আসমানি কিতাবে বিশ্বাস রাখব এবং আল-কুরআনের বিধি-বিধান মো োতাবেক আমাদের জীবন পরিচালনা করব। এতক্ষণ যা কিছু জানলে তা যে কুরআন এবং হাদিসের শিক্ষা তা তুমি কীভাবে বুঝবে? কুরআন এবং হাদিস পাঠ করে, তাই না? তাহলে এখন কুরআন এবং হাদিসের কো োথায় কো োথায় আকাইদের এই বিষয়গুলো োর উল্লেখ ুঁ বের করো ো। এই কাজে শিক্ষক ও অন্য বন্ধুদের সহায়তা নাও। প্রয়ো োজনে পরিবারের সদস্য রয়েছে তা খুজে এবং গুরুজনদেরকে জিজ্ঞেস করো ো। অর্্থসহ কুরআন এবং হাদিস পাঠ করেন বা কুরআন-হাদিস এর ব্যাখ্যা খুব ভালো োভাবে জানেন এমন কাউকে জিজ্ঞেস করেও তুমি এই কাজটি করতে পারো ো। wkÿvel© 2024 13 আকাইদ জানি ইমান-আমল বিশুদ্ধ করি প্রিয় শিক্ষার্থী, এই অধ্যায় থেকে তুমি দুটি অভিজ্ঞতা অর্্জন করবে। বেশ কিছু কাজ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্্জন করতে করতে তুমি এই অধ্যায়ের মূল শিক্ষা আত্মস্থ করতে পারবে। তবে অধ্যায়ের পাঠে প্রবেশের পূর্্ববেই একটু মাথা খাটিয়ে চিন্তা করে দেখো ো তো ো ইবাদাত সম্পর্্ককে তুমি কি কি জানো ো? ষষ্ঠ শ্রেণিতে কি তুমি ইবাদাত সম্পর্্ককে কোনো ো কিছু পড়েছিলে বা শিখেছিলে? মনে করার চেষ্টা করে দেখো ো তো ো। এব্যাপারে তো োমার সহপাঠী বন্ধুদের সহায়তা নাও, প্রয়ো োজনে শিক্ষকও তো োমাদের সহায়তা করবেন। শিক্ষকের নির্্দদেশনা অনুসারে কাজ করতে থাকো ো, তাহলেই এই অধ্যায় থেকে অনেক নতুন বিষয় জানতে পারবে, শিখতে পারবে আর কিছু অভিজ্ঞতা অর্্জন করবে। ইবাদাতের পরিচয় ইবাদাত আরবি শব্দ। এর অর্্থ আনুগত্্য করা, দাসত্ব করা। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাাঁর প্রেরিত রাসুলের দেখানো ো পথে জীবন পরিচালিত করাকে ইবাদাত বলে। আল্লাহ মানুষ ও জিন জাতিকে তাাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ইবাদাতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্্জন। সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরীয়ত সমর্্থথিত যেকো োনো ো কাজই ইবাদাত। আগের শ্রেণিতে তো োমরা ইবাদাতের পরিচয়, তাৎপর্্য ও প্রকারভেদ সম্পর্্ককে জেনেছ। ইসলামের প্রধান কয়েকটি ইবাদাত সম্পর্্ককে তো োমরা পূর্্ববের শ্রেণিতে জানতে পেরেছ। এখানে আমরা ইসলামের মৌ ৌলিক ইবাদাতসমূহের মধ্যে সালাত (নামাজ), সাওম (রো োযা) ও যাকাত wkÿvel© 2024 সম্পর্্ককে আরও বিস্তারিত জানব। 14 ইসলাম শিক্ষা সালাত প্রিয় শিক্ষার্থী! পূর্্ববের শ্রেণিতে তুমি সালাত সম্পর্্ককে বেশ কিছু বিষয় শিখেছ। আগের শ্রেণির আলো োচনার ধারাবাহিকতায় এ শ্রেণিতে পর্্যযায়ক্রমে তুমি সালাতের তাৎপর্্য, উপকারিতা, ফজিলত, পাাঁচ ওয়াক্ত সালাত, সালাতের ইমামতি, আযান ও ইকামত সম্পর্্ককে শিখবে ও প্রয়ো োজনীয় যো োগ্যতা অর্্জন করবে। এ ছাড়া তুমি সালাতুল বিতর, সালাতুল জুমু‘আ, সালাতুল জানাযা, সালাতুল ‘ঈদাইন, সালাতুত তারাবিহ, মাসবুক ব্যক্তির সালাত, রুগ্‌ণ ব্যক্তির সালাত, মুসাফিরের সালাত, সালাতের নিষিদ্ধ সময়, সাহু সিজদা এবং সালাত সংশ্লিষ্ট তাসবিহ ও দো োয়াসমূহের তাৎপর্্য ও মর্্ম বাণী, আদর্্শ জীবন গঠনে সালাতের ভূমিকা, সালাত আদায়ের জন্য প্রয়ো োজনীয় কয়েকটি নির্্ববাচিত সূরা ইত্্যযাদি সম্পর্্ককে শিখবে ও যো োগ্যতা অর্্জন করবে। তাহলে এবার মূল আলো োচনা শুরু করা যাক। সালাতের তাৎপর্্য ইমানের পর ইসলামের দ্বিতীয় ভিত্তি বা রুকন হলো ো সালাত। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ওপর দৈনিক পাাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দিয়েছেন। মুমিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্্ণএবং বড় ফরয ইবাদাত হলো ো সময়মতো ো পাাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে সালাতকে সর্্ববাধিক গুরুত্বপূর্্ণ ইবাদাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় নির্ ্ধধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের ওপর ফরয।’ (সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩) কুরআন মাজিদে প্রায় ৮২ স্থানে আল্লাহ তা‘আলা সালাত আদায়ের নির্্দদেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে সালাতের আদেশ দিন এবং এর ওপর অবিচল থাকুন।’ (সূরা: ত্বা-হা, আয়াত: ১৩২) সালাতের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করব। নির্ ্ধধারিত সময়ে সালাত আদায়ে সচেষ্ট হবো ো। মহান আল্লাহ সকল মুমিন ও জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দাদের বৈশিষ্টট্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আর যারা নিজেদের সালাতসমূহের ব্যাপারে যত্নবান থাকে।’ (সূরা আল্-মুমিনূন, আয়াত: ৯) ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত আদায় না করা মহাঅপরাধ ও বড় গুনাহ। আন্তরিক সদিচ্ছা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলে যাওয়া কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে সালাত ছুটে গেলে স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে সালা?

Use Quizgecko on...
Browser
Browser