Podcast
Questions and Answers
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য কী?
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য কী?
- সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করে সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা। (correct)
- পরিবেশের উন্নয়ন করা।
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
- শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা।
টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের মূল ভিত্তি কয়টি?
টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের মূল ভিত্তি কয়টি?
- দুটি
- পাঁচটি
- চারটি
- তিনটি (correct)
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) কয়টি?
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) কয়টি?
- ১৫টি
- ১২টি
- ২০টি
- ১৭টি (correct)
নিচের কোনটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ব্যাহত করে?
নিচের কোনটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ব্যাহত করে?
বাংলাদেশ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কোনটির উপর জোর দিয়েছে?
বাংলাদেশ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কোনটির উপর জোর দিয়েছে?
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রধান কাজ কী?
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রধান কাজ কী?
টেকসই সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
টেকসই সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে?
কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে?
নিচের কোন পদক্ষেপটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক?
নিচের কোন পদক্ষেপটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক?
টেকসই উন্নয়নের জন্য কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া উচিত?
টেকসই উন্নয়নের জন্য কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া উচিত?
জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (National Social Security Strategy) এর মূল লক্ষ্য কী?
জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (National Social Security Strategy) এর মূল লক্ষ্য কী?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকার কোন তহবিল গঠন করেছে?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সরকার কোন তহবিল গঠন করেছে?
নিচের কোন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সাহায্য করে?
নিচের কোন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সাহায্য করে?
টেকসই উন্নয়নে সুশীল সমাজের প্রধান ভূমিকা কী?
টেকসই উন্নয়নে সুশীল সমাজের প্রধান ভূমিকা কী?
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কোন বিষয়টির উপর বিশেষ নজর রাখা উচিত?
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কোন বিষয়টির উপর বিশেষ নজর রাখা উচিত?
Flashcards
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি এবং উন্নয়নের সুফল বিতরণ করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মূল লক্ষ্য
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মূল লক্ষ্য
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা ও সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারণা
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারণা
একটি প্রক্রিয়া যেখানে সমাজের প্রতিটি সদস্য উন্নয়নের ধারায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় এবং উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছায়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গুরুত্ব
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গুরুত্ব
Signup and view all the flashcards
টেকসই সমৃদ্ধি
টেকসই সমৃদ্ধি
Signup and view all the flashcards
টেকসই সমৃদ্ধির স্তম্ভ
টেকসই সমৃদ্ধির স্তম্ভ
Signup and view all the flashcards
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)
Signup and view all the flashcards
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অন্তরায়
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অন্তরায়
Signup and view all the flashcards
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পদক্ষেপ
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পদক্ষেপ
Signup and view all the flashcards
জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল
জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল
Signup and view all the flashcards
পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি
পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি
Signup and view all the flashcards
জাতীয় শিক্ষানীতি
জাতীয় শিক্ষানীতি
Signup and view all the flashcards
স্বাস্থ্য নীতি
স্বাস্থ্য নীতি
Signup and view all the flashcards
বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা
বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা
Signup and view all the flashcards
আন্তর্জাতিক সহযোগী
আন্তর্জাতিক সহযোগী
Signup and view all the flashcards
Study Notes
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন একটি ধারণা যা সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি এবং উন্নয়নের সুফল বিতরণের কথা বলে।
- এর মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।
- বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং টেকসই সমৃদ্ধি একে অপরের পরিপূরক।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেলে তা টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়, যেখানে উন্নয়নের সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভোগ করা যায়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারণা
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সমাজের প্রতিটি সদস্য, জাতি, লিঙ্গ, বয়স, এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে, উন্নয়নের ধারায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।
- উন্নয়নের সুফল সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়।
- এই ধারণার মূল ভিত্তি হল সমতা, ন্যায়বিচার, এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
- মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বৈষম্য হ্রাস, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করা এর লক্ষ্য।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গুরুত্ব
- বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- উন্নয়নের সুফল যদি সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা বৈষম্য বাড়ায় এবং সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে যে উন্নয়নের সুফল দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছায়, যা দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এটি একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
টেকসই সমৃদ্ধির ধারণা
- টেকসই সমৃদ্ধি বলতে এমন একটি উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বোঝায় যা বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদ এবং সুযোগ অক্ষুণ্ণ রাখে।
- পরিবেশগত সুরক্ষা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এবং সামাজিক উন্নয়ন এই তিনটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে টেকসই সমৃদ্ধি অর্জিত হয়।
- প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, দূষণ হ্রাস, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এমনভাবে পরিচালনা করা হয় যাতে তা দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হয়।
- সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ তৈরি করা হয়, যাতে একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে ওঠে।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)
- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals বা SDGs) হল ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য জাতিসংঘের গৃহীত একটি কর্মপরিকল্পনা।
- এই লক্ষ্যমাত্রাসমূহতে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প উদ্ভাবন ও অবকাঠামো, বৈষম্য হ্রাস, টেকসই নগর ও জনবসতি, দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন, জলবায়ু কার্যক্রম, জলজ জীবন, স্থলজ জীবন, শান্তি ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং লক্ষ্য অর্জনে অংশীদারিত্বের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
- এই ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সূচকগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বিশ্ব গড়ার জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধির পথে অন্তরায়
- বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
- দারিদ্র্য একটি বড় বাধা, কারণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা বিপুল সংখ্যক মানুষ উন্নয়নের মূল স্রোত থেকে বাইরে থেকে যায়।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, যেমন বন্যা, খরা, এবং ঘূর্ণিঝড়, দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
- সুশাসনের অভাব, দুর্নীতি, এবং দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে।
- সামাজিক বৈষম্য, যেমন লিঙ্গ বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, এবং ধর্মীয় বৈষম্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ব্যাহত করে।
- শিক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা দেশের মানব উন্নয়ন সূচককে দুর্বল করে রাখে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ
- বাংলাদেশ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
- পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সুরক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতা ও সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
- নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
- পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
- সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং সরকারি সেবার মানোন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সরকারের নীতি ও কৌশল
- বাংলাদেশ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বেশ কিছু নীতি ও কৌশল গ্রহণ করেছে।
- জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (National Social Security Strategy) দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
- পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি (Environment Conservation Policy) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেয়।
- জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলে।
- স্বাস্থ্য নীতি (Health Policy) সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
- এছাড়া, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে।
বেসরকারি সংস্থা এবং সুশীল সমাজের ভূমিকা
- বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনে বেসরকারি সংস্থা (NGO) এবং সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, এবং অন্যান্য অনেক এনজিও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কাজ করছে।
- তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, এবং দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- সুশীল সমাজ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সরকারকে সহায়তা করে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে, এবং সমাজের দুর্বল অংশের অধিকার রক্ষায় কাজ করে।
- তারা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রচারাভিযান পরিচালনা করে এবং টেকসই উন্নয়নে উৎসাহিত করে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশ সহায়তা করছে।
- বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), জাতিসংঘ, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।
- দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, এবং পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাংলাদেশকে তার উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
ভবিষ্যৎ করণীয়
- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
- শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে, যাতে যুব সমাজ কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
- সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি কমাতে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
- সামাজিক বৈষম্য কমাতে এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
- বেসরকারি সংস্থা এবং সুশীল সমাজের সাথে সরকারের সহযোগিতা বাড়াতে হবে, যাতে উন্নয়ন কার্যক্রম আরও কার্যকর হয়।
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং প্রযুক্তি সংগ্রহ করতে হবে।
Studying That Suits You
Use AI to generate personalized quizzes and flashcards to suit your learning preferences.