যোগাযোগের তত্ত্ব ও প্রকারবল

বইয়ের মূল বিষয়বস্তু

• Employability skills হলো সেই নরম দক্ষতা যা নিয়োগকর্তারা সম্ভাব্য কর্মচারীদের মধ্যে দেখতে চান।
• এই দক্ষতাগুলো কর্মচারীদের নিজেদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে এবং ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন করতে সাহায্য করে।

কাজ এবং শিক্ষা

• National Curriculum Framework–2005 (NCF–2005) কাজ এবং শিক্ষাকে সংমিশ্রণ করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি ঘটায়।
• কাজের মাধ্যমে জানা এবং মুল্যবোধের অবদান, যেমন স্বনির্ভরতা, সৃজনশীলতা এবং সহযোগিতা।

Vocational Education and Training (VET)

• VET-কে একটি ‘পছন্দসই এবং সম্মানজনক’ বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ছাত্রদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে।
• VET নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

জাতীয় স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (NSQF)

• NSQF হচ্ছে একটি মান নিশ্চিতকরণ ফ্রেমওয়ার্ক, যা দেশব্যাপী কার্যক্রমগুলোকে দক্ষতা অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করে।
• NSQF-এর মাধ্যমে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্জিত হয়।

ব্যবসায়িক নিবন্ধকরণ এবং সবুজ দক্ষতা

• শিক্ষার্থীদের সাংগঠনিক চাহিদার প্রতি সাড়া দিতে বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
• সবুজ দক্ষতা হলো প্রযুক্তিগত দক্ষতা, যা সমাজের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ফলাফল তৈরি করতে সাহায্য করে।

বইয়ের উদ্দেশ্য

• “Employability Skills” বইটি যোগাযোগ, স্ব-ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা এবং সবুজ দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করে।
• বইটির উদ্দেশ্য জ্ঞান ভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা এবং ভিডিও-ভিত্তিক ই-লার্নিং পাঠ্যক্রম তৈরি করা।

শ্রেণীকক্ষে পাঠদান

• শিক্ষকদের ক্লাসে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়, যাতে ছাত্ররা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর দেয়।
• ই-লার্নিং পাঠ্যক্রম চলানোর জন্য স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, প্রকশক এবং সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

স্বীকৃতি

• NCERT আয়োজন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বইটির উন্নয়নের জন্য।
• বইটির পর্যালোচনা এবং উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অবদান রয়েছে।

যোগাযোগ তথ্য

• NCERT এর বিভিন্ন অফিসের যোগাযোগ নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে।### যোগাযোগ দক্ষতা
• যোগাযোগ অর্থের শেয়ারিং, যা দুই বা তার বেশি ব্যক্তির মধ্যে ঘটে।
• 'যোগাযোগ' শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'commūnicāre' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'শেয়ার করা'।

যোগাযোগের গুরুত্ব

• সুস্পষ্টভাবে যোগাযোগ করার ক্ষমতা সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করে।
• বিভিন্ন ভাষা শেখা বিশেষ করে ইংরেজি, বিশ্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে।
• যোগাযোগের উদ্দেশ্য: তথ্য প্রদান, প্রভাব সৃষ্টি এবং অনুভূতি প্রকাশ।

যোগাযোগের উপাদান

• যোগাযোগ একটি দুইপথের প্রক্রিয়া: তথ্য প্রদান (শোনা) এবং গ্রহণ (বলা)।

যোগাযোগে প্রভাব ফেলা দৃষ্টিভঙ্গি

• দৃষ্টিভঙ্গি: অভিনেতা হবার জন্য ধারনা বা চিন্তা যা যোগাযোগকে প্রভাবিত করতে পারে।

যোগাযোগের ব্যারিয়ারসমূহ

• ভাষা: ভুল শব্দ বা অপরিচিত ভাষা যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
• visual perception: ব্যক্তিদের বা পরিস্থিতিকে তাদের চেহারা দ্বারা বিচার করা।
• অতীতের অভিজ্ঞতা: পূর্ব অভিজ্ঞতা যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
• পূর্বপাত: স্থির ধারনা যা খোলামেলা যোগাযোগ বন্ধ করতে পারে।
• অনুভূতি: আবেগ, যেমন অরুচি বা অন্যের প্রতি বিশ্বাসের অভাব, যোগাযোগে প্রভাব বিস্তার করে।
• পরিবেশ: শব্দ বা ব্যবস্রবাধ জীবনযাত্রা যোগাযোগকে দুর্বল করে।
• ব্যক্তিগত কারণে: আপনার নিজস্ব অনুভূতি, অভ্যাস এবং চিন্তাভাবনা যোগাযোগকে কঠিন করে।
• সংস্কৃতি: বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন অর্থ হওয়া চিহ্ন যোগাযোগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

কার্যকর যোগাযোগের মূলনীতি

• কার্যকর যোগাযোগের ৭টি সি: পরিষ্কার, সংক্ষিপ্ত, সঠিক, ধারাবাহিক, পূর্ণ এবং ভদ্র।

যোগাযোগের পদ্ধতিসমূহ

• মৌখিক (Verbal), অ-মৌখিক (Non-verbal) এবং ভিজ্যুয়াল (Visual) যোগাযোগ।

কার্যক্রম

• ছোট দলে রোল-প্লে করে যোগাযোগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা।
• বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
• ৭ সি নিয়ে শ্রেণীকক্ষে আলোচনা।
• যোগাযোগের উপাদান চিত্র তৈরি করা।

অগ্রগতি পরীক্ষা

• উদ্দেশ্য নির্ধারণ: কিভাবে যোগাযোগের বিভিন্ন পদ্ধতি কার্যকর হয়।
• আবেগের প্রভাব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যারিয়ার সম্বন্ধে পড়ুন।### মৌখিক যোগাযোগ
• মৌখিক যোগাযোগের গুরুত্ব: সঠিক শব্দ ব্যবহার না করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এবং যা বলতে চান তা বোঝাতে পারেন না।
• মৌখিক যোগাযোগের দুই ধরনের: মৌখিক (মুখে মুখে) এবং লিখিত যোগাযোগ।

মৌখিক যোগাযোগের উদাহরণ

• মুখোমুখি আলাপ: পরিবারের সাথে কথা বলা, পублич বক্তব্য, ক্লাসরুম শেখানো।
• ফোন সংলাপ: ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল উদ্দেশ্যে কথা বলা, অভ্যর্থনা এবং শেষ করা ‘ধন্যবাদ’ ও ‘বিদায়’ দিয়ে।

লিখিত যোগাযোগ

• লেখা: চিঠি, নোট ইত্যাদি।
• এসএমএস: ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীকে পাঠানো।
• ইমেইল: সংবাদ, চিন্তা, ডকুমেন্ট ও ফাইল শেয়ারিং।

মৌখিক যোগাযোগের সুবিধা

• সহজ এবং দ্রত: দ্রুত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
• ধারণা বিনিময়ের সহজতর উপায়।

মৌখিক যোগাযোগের অসুবিধা

• শব্দের উপর নির্ভরশীলতা: সঠিক শব্দ না ব্যবহার করলে অর্থ বোঝানো কঠিন।

পাবলিক স্পিকিং

• বৃহৎ জনসমূহের সামনে কথা বলা অনেকের জন্য উদ্বেগজনক।
• ৩পি মেথড (প্রস্তুতি, প্র্যাকটিস, পারফর্ম): প্রস্তুত হওয়া, অনুশীলন করা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলা।

অ-মৌখিক যোগাযোগ

• অ-মৌখিক যোগাযোগ হলো ভাষা ছাড়া বার্তা প্রেরণ।
• মুখাবয়ব, gestures এবং শরীরের ভঙ্গিমার মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করা হয়।

অ-মৌখিক যোগাযোগের গুরুত্ব

• তিনটি প্রধান পদ্ধতি: মুখাবয়ব, শরীরের ভঙ্গি এবং কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রণ।
• ১০% এরও কম কথার মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ হয়।

অ-মৌখিক যোগাযোগের ধরন

• মুখাবয়ব: হাসি, দুঃখের চেহারা ইত্যাদি।
• শরীরের ভঙ্গি: আত্মবিশ্বাসের অভিব্যক্তি।
• gestures: নির্দেশনা দেওয়া।
• স্পর্শ: হাত মেলানো, উৎসাহ প্রকাশ করা।
• চোখের যোগাযোগ: শ্রোতার সাথে সংযোগ তৈরি করতে সহায়ক।

ভিজ্যুয়াল যোগাযোগ

• চিত্র বা ছবির মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ।
• ভাষা জানার প্রয়োজন নেই, সহজ ও বোঝার জন্য সুবিধাজনক।

ভিজ্যুয়াল যোগাযোগের উদাহরণ

• ট্র্যাফিক সাইন: হুঁশিয়ারী এবং নির্দেশ।
• নো স্মোকিং এলাকা সাইন: ধূমপানের নিষেধ।

কার্যকলাপের জন্য নির্দেশনা

• ফোনের আলাপের জন্য ভূমিকা পালন এবং প্রতিক্রিয়া দেওয়া।
• পাবলিক স্পিকিংয়ের জন্য বিষয় নির্বাচন, মন্তব্য এবং উন্নতির জন্য প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা।

এই কুইজে আপনি যোগাযোগের উদ্দেশ্য, কমিউনিকেশন শব্দের উৎপত্তি এবং এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, যোগাযোগে বাধার কারণ এবং বিভিন্ন প্রকার যোগাযোগের পদ্ধতি সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকবে। আপনার যোগাযোগের জ্ঞানের স্তর যাচাই করুন।