বন্যপ্রাণী: সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

বন্যপ্রাণী কী?

• বন্যপ্রাণী বলতে ঐ সকল প্রাণী, উদ্ভিদ ও অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রাণীদেরকে বুঝায় যারা প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস করে, এবং মানুষের উপর নির্ভর করে না
• বন, জলাশয় বা অন্যান্য প্রাকৃতিক এলাকায় বাস করা প্রাণীদেরকে বন্যপ্রাণী বলা হয
• গৃহপালিত প্রাণীরা বন্যপ্রাণী নয় কারণ তাদের জীবনধারণের জন্য মানুষের সাহায্য প্রয়োজন
• বন্যপ্রাণীরা প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ, যা সমস্ত উদ্ভিদ ও অন্যান্য জীব সম্মিলিত

বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব

• প্রাকৃতিক ব্যাবস্থার ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করে
• অর্থনীতি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
• পর্যটন শিল্পের উৎস, যা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে
• গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য ইতিহাসের মূল উৎস
• চিকিৎসাবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
• প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

• যদি বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে
• বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণ না করলে মানুষের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে
• আর্থিক, চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক কারণে বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ
• বন্যপ্রাণীদের প্রতি ভালবাসা এই সংরক্ষণের মূল কারণ

বন্যপ্রাণীর শ্রেণীবিন্যাস

• সমস্ত প্রাণীদেরকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয় - মেরুদণ্ডী (Vertebrates) ও অমেরুদণ্ডী (Invertebrates)
• মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে কীট, সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী
• অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে জীবাণু, ক্ষুদ্র প্রাণী, মাছ, কীট-পতঙ্গ, সাঁকো ইত্যাদি
• পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রাণীর প্রায় 80% অমেরুদণ্ডী

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল

• বাংলাদেশের প্রায় 23 লক্ষ হেক্টর বনভূমি রয়েছে যা দেশের মোট ভূমির 15.58%
• বেশিরভাগ বনভূমি পাহাড়ি অংশ, সমতলের শাল বন এবং উপকূলীয় বনাঞ্চল
• এই বনাঞ্চলগুলি বন্যপ্রাণীদের প্রধান আবাসস্থল
• বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল হতে পারে স্থলজ (Terrestrial) বা জলজ (Aquatic)### স্থল আবাসস্থল

পাবণিয বনেূতম

• বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত মৃদু-শীতোষ্ণ পাহাড়ি বন বা 'টিল-চির সবুজ বন'
• এই বনাঞ্চল প্রায় ৬৮০,০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত
• উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বন ক্ষণ্ডিত, দক্ষিণাংশের বনগুলি একটি বড় খণ্ড বিশিষ্ট
• এই বনাঞ্চলে মূলত আদ্র জলবায়ু বিরাজমান, বর্ষণ সর্বাধিক
• এই বনে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ গাছগুলো: গোর্ণ, বেলাম, সিরিষ, চাপাডিশ, মারুল, ডুমুর, আমলকি, ভাদ, কালোজাম, নারিকেল ইত্যাদি
• এই বনে বাস করে: এশিয়ান হাতি, কালো ভালুক, সূর্য ভালুক, চশমাপোহনুমান, উলুক, লজ্জাবতী বানর, পাতি শিয়াল, বনকুকুর, বনমুরগি, বনছাগল, সামবার হরিণ ইত্যাদি স্তন্যপায়ী; গোলবাহার, তক্ষক সাপ, শিলা কচ্ছপ, গুইসাপ, তক্ষক সহ অন্যান্য প্রজাতির সরীসৃপ; বকমুরগী, কাঠ মেয়ূর, বনমুরগী, পাহাড়ি মেইনা প্রভৃতি পাখি
• বিলুপ্ত হয়েছে: গণ্ডার, বাদামি হাঁস

সমিলীয় শালবন

• যেসব বনে অধিকাংশ গাছের পাতা শীতকালে ঝরে পড়ে, তাদের 'পর্ণপাতী' বা 'পর্ণমোচী বন' বলা হয়
• এই বনাঞ্চল প্রধানত শাল গাছ নিয়ে গঠিত, তাই 'শালবন' নামেও পরিচিত
• বাংলাদেশের মধ্য ও উত্তর অঞ্চলে ছড়ানো ছিটানো আছে, প্রায় ১২০,০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত
• প্রধানত ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর, মাদারিপুর, মাগুরা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড, কুড়িগ্রামে অবস্থিত
• মাটি প্রায় লাল-হলুদ বর্ণের, উত্তর অঞ্চলের কিছু বনে মাটি হালকা বাদামী বা বাদামী-লাল
• এই বনে প্রধান গাছগুলো: শাল, বেল, নিম, সোনালু, বাবলা
• এই বনে বসবাস করে: তক্ষক, গুইসাপ, রক্তচোখা, শঙ্খিনী, গোখরো; ২০০-২৫০ প্রজাতির পাখি; লেশাস বানর, লালবুক হনুমান, গন্ধগোকুল, কাঠবিড়ালি, বাদুড় ইত্যাদি স্তন্যপায়ী
• একসময় ছিল হাতি, বাঘ, হরিণ, কিন্তু এখন আর নেই

অন্যান্য স্থলজ আবাসস্থল

• তৃণভূমি, বাঁশবন, গ্রামীণ বন বা জঙ্গল ও অন্যান্য স্থলজ আবাসস্থল বাংলাদেশে বিদ্যমান

তৃণভূতম

• যেখানে ঘাসের আধিপত্য থাকে, কিন্তু গাছপালা ও নলকাগড়াও দেখা যায়
• অধিকাংশ তৃণভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে, খণ্ডিত ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে
• এতে ইক্ষু, হোগলা, নলকাগড়া, উলু প্রভৃতি উদ্ভিদ গড়ে ওঠে
• এই তৃণভূমিতে একসময় কর্মোসাইগালা, বঙ্গলি, গণ্ডার, বাড়বশিঙ্গা, কৃষ্ণসার, বাংলার ফ্লোরিকান বিচরণ করত

বাঁশবন

• বাংলাদেশের বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক বাঁশবাগান ছাড়াও গ্রামে প্রচুর বাঁশবন বা বাঁশঝাড় দেখা যায়
• গ্রামের মানুষ বাড়ি, পশুপাখির ঘর, খেতের বেড়া, নদীপাড়ের সাঁকো তৈরি এবং অন্যান্য কাজে বাঁশ ব্যবহার করে
• এই বাঁশঝাড়গুলি বক-জাতীয় পাখিদের উপাদান, যেমন: দোয়েল, শারিক, কাঠবিড়ালি ইত্যাদির বাসস্থ### বন্যপ্রাণী
• বাংলাদেশের কয়াক এলাকার দ্বীপ এবং বনগুলি দুর্লভ বন্যপ্রাণী আবাসের অংশ
• উটিদ, বাইন, থগােপাতা, থিরছাবাঘ, টশয়াে ইত্যাদি বন্ধ্যপ্রাণীর উল্লেখ এবং তাদের আবাসস্থানের বিবরণ
• বন্যপ্রাণীর উল্লেখিত প্রাণীর মধ্যে উঠুরেন, থিবেগণো, কাদারিক, খোপায়ী, আদিমুখীর উল্লেখ এবং তাদের আবাসস্থা
• উপকূয়ের মানরগ্ররে বনা িীস্য র্া্ণ্ডারেে অধ্যাত্মিক বনা ও উল্লেখিত প্রাণীগিয়াদে দেখা পায়, যেন টবোংচো, বাদািী িাো গাংটচো ইত্যাদি

কসইন্ট মাতদণন’স দ্বীপ

• কসইন্ট মাতদণন’স দ্বীপ বাংোরদররশে অংশ প্রচঁলিত দ্বীপ এবং তার প্রাকৃতিক আবাসস্থান
• দ্বীপে বয়স করা একটি পূর্ণাংধারিত আবাসস্থান, প্রাণী ও পানী প্রাণি সৃটে তা একটি র্উগর্থষর্থ স্তোরে সিরৃজন করুে
• এই দ্বীপের অবস্থা একটি বিশেষ কাঠামু রুমিত এবং টডসিঊট পানী চায়ানী এবং কেরা অ্র্ত্ষীরহ প্রকৃযে প্রদরয়ত প্রাণী এনমাের উল্লেখ এবং তাদের আবাসাসাক্ষো
• এই দ্বীপে বাহুমুখ বাংলার দরিহণাগুটে অংরশ প্রাচু ডো শরোরিরথি এবং পোতিক ফাদুনু চীপে সংধারিত।
• সাম্প্রদাদদৌতে বাহুমুখে িুরছ, পরথম পিতনুকুজি' স্ত এবং প্রেতনুরবস এরনকে বীঞানন স্মত্মানধালিধৃ বড়দুলুষী এবং দ্বীপের মধ্য বাসর্ঠিয়পটোট পঠ্য বয়বী এনেয়ান এবং বিড়াবুটে শুন্দিনূ উল্লেখ
• বলনাচাবে দষ্টে এমতেsিসিূন পরদ্ধারে বণনামন আনেবে টদ্ধ বিধে সবদাংধায় থিরে রনী প্রাগেন্’,টশে দ্ছনোন্ে জ্ঘ ডুর-ষা চীঁনী গণডননা উঠো-রিহনাৢ; উম
• এবং সাংধারিতে অসঙে তৃূতো-ঘভানে দটথু, একো, ধাধি, তাো এরফৃূডিং, নোয়োন, শিব্দু, টগরয়া অথ আংশাডেভ প্রণর্ছা তেয়ান্তি ত তম স่া-ভারাস এ এ পুরব এন্ডৌ-বিতী
• সর্মনে তন্কেউয় উংচি বয়োরমা ভেক্কী তাষ্পি উগতি এবং নূগথু উঠু শ্ভে তল্থকত-ষ্ূজী এবঁ সির্নধকথুণ সৃণী উল্লা উগেভালা
• পতঠানথন ও বিড়কে ব্যানকষনে এই প্রাণীর নামকরাণেত ভিঞে; বাে্গত তশকতাহি, চাইহায়, শদরতে, কাবাতথ, টকষ শকগ্যা, অরব