সমাসের চৌদ্দ গোষ্ঠী A to Z PDF

Summary

This document provides a detailed explanation of 14 types of Samas (compounds) in Bangla grammar. It covers basic definitions and examples for each type. It's a helpful resource for Bangla language learners.

Full Transcript

# সমাস - সমাসঃ সমাস মানে হচ্ছে বড় বড় যে পদগুলো আছে সেগুলোকে সংক্ষেপ করে ফেলা বা একপদে করা। - এককথায় সমাস মানে সংক্ষিপ্ত করা। ## সমস্যমান পদ - সমস্তপদের যে পদগুলো সমাস এর মধ্যে পাওয়া যায় তাকে সমস্যমান পদ বলে। ## প্র সমাসের মৌলিক অংশ ৫টি: 1. ব্যাসবাক্য 2. সমস্তপদ 3. পূর্বপদ 4. পরপদ/উত্তরপ...

# সমাস - সমাসঃ সমাস মানে হচ্ছে বড় বড় যে পদগুলো আছে সেগুলোকে সংক্ষেপ করে ফেলা বা একপদে করা। - এককথায় সমাস মানে সংক্ষিপ্ত করা। ## সমস্যমান পদ - সমস্তপদের যে পদগুলো সমাস এর মধ্যে পাওয়া যায় তাকে সমস্যমান পদ বলে। ## প্র সমাসের মৌলিক অংশ ৫টি: 1. ব্যাসবাক্য 2. সমস্তপদ 3. পূর্বপদ 4. পরপদ/উত্তরপদ 5. সমস্যমান পদ। ## সমাসের প্রকারভেদ ৬ প্রকার 1. দ্বন্দ্ব সমাস 2. দ্বিগু সমাস 3. কর্মধারয় সমাস 4. তৎপুরুষ. সমাস 5. অব্যয়ীভাব সমাস 6. বহুব্রীহি সমাস # দ্বন্দ্ব - দ্বন্দ্ব মানে মিলন (সমাসের ক্ষেত্রে) - দুষ্ট দ্বন্দ্ব সমাসে (-) হাইফেন থাকবে এবং উভয় পদ একই রকম থাকবে এবং দ্বন্দ্ব সমাসে সবসময় উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য পাবে। ## অলুক দ্বন্দ্ব - সাধারণ দ্বন্দের সাথে যখন বিভক্তি যোগ হয় তখন সেটি হয় অলুক দ্বন্দ্ব সমাস। - অলুক দ্বন্দ্ব হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তার সাথে আগে সমস্তপদে বিভক্তি থাকতে হবে। ## বহুপদী দ্বন্দ্ব - যখন দুইয়ের অধিক বেশি পদ হবে তখন সেটাকে বলা হবে বহুপদী দ্বন্দ্ব। # দ্বিগু - দ্বিগু বলতে সবার আগে আমাদের মাথায় আসে 'সংখ্যা। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সংখ্যা হলেই সেটি দ্বিগু হয় না। - সংখ্যার সাথে সমাহার/সমষ্টি থাকে তাহলে সেটি দ্বিগু সমাসা # কর্মধারয় | | | | |:-------------------|:------------------------------|:-------------------------------------------| | | **উপমান (বাস্তব)** | **উপমিত (অবাস্তব)** | | **বাস্তব তুলনা** | পেলে সেটি হবে | অবাস্তব তুলনায় যদি ২টাই দেখা যায় তবে সেটি | | **উপমান** | তুষারশুভ | অবাস্তব তুলনায় যদি 1টি দেখা যায় তাহলে সেটি | | **কাজলকালো** | | **উপমিত।** | | **ক্রোধাবল** | | **তাহলে সেটি রূপবদ** | | **বিষাদসিন্ধু** | | **চন্দ্রমুখ** | | **সিংহপুরুষ** | | **বিষাদসিন্ধু** | ## মধ্যপদলোপী, - সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা - সিংহ চিহ্নিত আসন সিংহাসন - মধ্যপদলোপী মানে হচ্ছে মধ্যের পদ বাদ চলে যাওয়া। ## সাধারণ কর্মধারয় - ব্যাসবাক্যে যখন যে/মিনি/অথচ থাকবে তখন সেটাকে বলা হবে সাধারণ কর্মধারয়। # তৎপুরুষ - **২য়া**- কে. চর. ব্যাপীয়া (কর্ম) - দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত - চিরকাল ব্যাপীয়া সুখী = চিরসুখী - **৩য়া**- দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক (করন) - মন দিয়ে পড়া = মনগড়া - **৪র্থী**- কে. রে. জন্য (সম্প্রদান) - গুরুকে ভব্যি = গুরুরঞ্জি - বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা - **৫মী**- হতে, থেকে, চেয়ে (অপাদান) - বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত - **৬ষ্ঠী**- র, এর (সম্বন্ধে) - চায়ের বাগান = চায়ের বাগান - **৭মী**-এ.য়. তে (অধিকরণ) - দিবায় নিদ্রা = দিবানিদ্রা ## অলুক তৎপুরুষ - অলুক মানে বিভক্তি লোপ পাবেনা। - যদি বিভক্তি বাদ পরে যায় তাহলে সেটি ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ আর যদি বিভক্তি বাদ পরে না যায় তাহলে সেটি অলুক ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ। # নঞ্চ (নাবোধক) - দিনঞ তৎপুরুষের ক্ষেত্রে সবকিকছু না বোধক হবে না। - না, নেই, নাই, ন, নয় যখন ব্যাসবাক্যে থাকবে তখন নজ্ঞ হবে। # উপপদ (বাক্য সংকোচন) - ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ - সত্য কথা বলে যে- সত্যবাদি # অব্যয়ীভাব - প্রতিদিন, উপভাষা - মূল শব্দের শুরুতে অতিরিক্ত যোগ থাকলে হবে উপসর্গ। আর প্রত্যেক উপসর্গই অব্যয়। - উপসর্গ + যথা = অব্যয়ীভাব # বহুব্রীহি - নীলকণ্ঠ = Adj + N = সমানাধিকরন - বিশেষণ + বিশেষ্য - সমস্তপদে যদি বিশেষণ+ বিশেষ্য থাকে তাহলে সমানাধিকরণ। - आशीविस = N+N = ব্যর্বিককরন - বিশেষ্য + বিশেষ্য - সমস্তপদে যদি বিশেষ্য+ বিশেষ্য থাকে তাহলে সেটি ব্যার্বিকরণ। ## ব্যতিহার - পূর্বপদে সবসময় 'ণ' থাকবে এবং পরপদে 'f' থাকবে তাহলে সেটি ব্যতিহার বহুব্রীহি। # মধ্যপদলোপী - বহুব্রীহি তে সমস্তপদ প্রাধান্য না পেয়ে অন্য পদ প্রাধান্য পাবো - বিড়াল চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর= বিড়ালচোখী # প্রত্যয়ন্ত - শেষে যখন প্রত্যয় থাকে তখন সেটিকে বলা হয় প্রত্যয়ন্ত। (আ.এ.ও যখন থাকবে তখন প্রত্যয়ন্ত বহুব্রীহি হবে) ## অলুক বহুব্রীহি - সমস্তপদের মধ্যে যখন ৭মী পাওয়া যায় তখন সেটিকে বলা হয় অলুক বহুব্রীহি। # সমাস - সমাসঃ- সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। বাঙলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। # সমাস মনে রাখার কৌশল 1. অন্ন্দ্ব সমাসে ব্যাস বাক্যে অব্যয় সূচক (ও, এবং, আর) শব্দ থাকে - মাতা ও পিতা মাতাপিতা, দিন ও রাত = দিনরাত 2. দ্বিও সামাসে ব্যাস বাক্যে সমাহার শব্দটি বা সংখ্যা বাচক শব্দ থাকে। - তিন মাথার সমাহার = তেমাথা, শত অব্দের সমাহার শতাব্দী 3. কর্মধারয় সমাসে ব্যাস বাক্যে যে, সে, যেই, সেই থাকে। - মহান যে নবী মহানবী, নীল যে অম্বর = নীলাম্বর 4. বহুব্রীহি সমাসে ব্যাস বাক্যে যার, তার শব্দ থাকে। - অল্প বয়স যার = অল্পবয়সী। বহু ব্রীহি আছে যার = বল্লীহি 5. অব্যয়ী সমাসে অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পায়। - মিলের অভাব = অমিল। কূলের সমীপে = উপকূল 6. তৎপুরুষ সমাসে ব্যাস বাক্যের বিভক্তি লোপ পায়। - ছন্দ আকারে - আর বিভক্তি লোপ না পেলে অলুক তৎপুরুষ হয়। - মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা। মেঘ হতে মুক্ত = মেঘমুক্ত। # উপমান কর্মধারয় এবং উপমিত কর্মধারয় তিনটি বিষয় জানা দরকার 1. উপমেয়ঃ যাকে তুলনা করা হয়। 2. উপমানঃ যার সাথে তুলনা করা হয়। 3. সাধারণ গুনঃ যে শুনে গুণান্বিত করা হয়। - যেমন: নায়িকা কয়লার মতো কালো। - নায়িকা (উপমেয়) কয়লার (উপমান) মতো কালো (সাধারণ গুণ)। # নঞ্জ তৎপুরুষ সমাস চেনার উপায়:- - পদের প্রথমে অ, অন, অনা, বে, নির থাকবে। # উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার উপায়:- - বিশেষ্য+ কুদস্ত পদ। (কৃদন্ত কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দ)

Use Quizgecko on...
Browser
Browser